ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে ইনসুলিন হরমোনটির ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত।
‘ডায়াবিটিস’ বা মধুমেহ রোগের নাম শুনলে আগে যতটা ভয় পেত মানুষ, এখন তেমনটা লক্ষ করা যায় না। খুঁজলে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এক জন ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যাবে। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে ৫৪ কোটিরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। তবে শুধু সাধারণ মানুষ নয়, ডায়াবিটিসে তার থাবা বসিয়েছে তাবড় নক্ষত্রদের শরীরেও। বলিউডে সোনম কপূর, দক্ষিণী তারকা সামান্থা রুথ প্রভু থেকে হলিউডের নিক জোনাস— অনেককেই ডায়াবিটিসের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছে। ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার পিছনে ইনসুলিনের ভূমিকা রয়েছে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ওষুধের পাশাপাশি এই হরমোনের পরিমাণ ঠিক রাখতে পারে ঘরোয়া কিছু উপাদানও।
ফ্ল্যাক্সিড
ফ্ল্যাক্সিড বা তিসিতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং লিগনান। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
তিসি কী ভাবে খাবেন?
প্রতি দিন তিসি ভেজানো জল খেলে উপকার মিলবে। এ ছাড়া তিসি শুকনো খোলায় ভেজে, গুঁড়ো করে রেখেও দিতে পারেন। সকালে কর্নফ্লেক্স বা ওট্সের সঙ্গে, স্মুদি বা স্যালাডের উপর ছড়িয়ে খাওয়া যেতে পারে।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের গুণ ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে ইনসুলিন ক্ষরণের মাত্রা স্বাভাবিক হতে পারে। ইঁদুরের উপর করা গবেষণায় ইতিবাচক ফল মিলেছে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পেঁয়াজের রস কার্যকরী, তেমন ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
পেঁয়াজ কী ভাবে খাবেন?
যে কোনও রান্নায় পেঁয়াজ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে রান্না করলে পেঁয়াজের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তুলনায় কাঁচা পেঁয়াজ খেলে উপকার বেশি। কারণ, তার নির্যাস পুরোপুরি শরীরে পৌঁছতে পারে।
অ্যালো ভেরা
একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত অ্যালো ভেরার রস খেলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের হার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে কার শরীরে অ্যালো ভেরা কেমন প্রভাব ফেলবে, তা নির্ভর করবে ওই ব্যক্তির উপর। তাই খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।