মধ্যবয়সে নিজেকে ফিট রাখতে এখন অনেকেই বেছে নিচ্ছেন যোগাভ্যাস ছবি: সংগৃহীত
চল্লিশ পেরোলে এখন আর কেউ চালশে হতে চান না। বরং মধ্যবয়সে নতুন করে জীবনকে দেখতে চাওয়াই আধুনিক জীবনের দস্তুর। মধ্যবয়সে নিজেকে ফিট রাখতে এখন অনেকেই বেছে নিচ্ছেন যোগাভ্যাস। কিন্তু আগে থেকে অভ্যাস না থাকলে আচমকা হরেক রকমের আসন অনুশীলন করা সহজ নয়। রইল এমন তিনটি আসনের খোঁজ যা একটু বেশি বয়সে যোগাভ্যাস শুরু করতে চাইলেও সহজেই রপ্ত করা যাবে, আবার প্রৌঢ়ত্ব এলে যে সমস্যাগুলি মূলত দেখা দেয়, সেগুলিও দূরে থাকবে।
দণ্ডাসন ছবি: সংগৃহীত
দণ্ডাসন
১। মেঝেতে পিঠ সোজা করে বসুন এবং পা সামনের দিকে প্রসারিত করুন।
২। হাতের তালু নিতম্বের পাশে মেঝেতে রাখুন।
৩। হাতের তালু মেঝেতে রেখেই হাত ও মেরুদণ্ড লম্বা এবং সোজা করতে থাকুন, সোজা রাখুন ঘাড় ও মাথা৷
৪। দেহ টানটান রেখে স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস নিন, এবং ভঙ্গিটি প্রায় ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড বজায় রাখুন।
উপকারিতা: এই আসন পিঠের পেশি শক্তিশালী করে। মেরুদণ্ডকে লম্বা এবং প্রসারিত করে। পাশাপাশি কাঁধ এবং বুক প্রসারিত করে, ফলে ঘাড় ও পিঠের ব্যথা নির্মূল হতে পারে। পায়ের পেশি মজবুত করতেও সহায়তা করে এই আসন।
পদহস্তাসন ছবি: সংগৃহীত
পদহস্তাসন
১। দুই পা আরামদায়ক দূরত্বে রেখে শরীর শিথিল করে দাঁড়ান। হাত থাকুক পাশে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিন।
২। শরীর টান টান করে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে কানের পাশ দিয়ে দুই হাত সোজা করে মাথার উপরে তুলুন।
৩। এ বার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে মেরুদণ্ড দীর্ঘায়িত করে সামনের দিকে ঝুঁকতে থাকুন। আঙুল থাকবে মাটির দিকে। হাঁটু যেন বেঁকে না যায় খেয়াল রাখুন।
৪। নীচু হয়ে হাত দিয়ে পায়ের গোড়ালি জড়িয়ে ধরতে পারলে ভাল। না হলে হাত দিয়ে পায়ের পাতা ছুঁয়ে থাকুন। সেটাও না পারলে আরামদায়ক ভাবে যতটুকু ঝুকতে পারবেন ততটুকুও করুন। তার বেশি নীচু হওয়ার দরকার নেই। খেয়াল রাখুন ঘাড়, মাথা যেন আরামদায়ক অবস্থায় থাকে। পা থাকুক টান টান ও সোজা।
৫। এই অবস্থানে কয়েক সেকেন্ড থাকুন। এ বার শ্বাস নিতে নিতে মাথার উপর হাত তুলে সোজা হয়ে দাঁড়ান ও শুরুর অবস্থানে ফিরে আসুন।
উপকারিতা: ডায়াবিটিস, ক্ষুধামান্দ্য, অজীর্ণ প্রভৃতি রোগের উপকার দিতে পারে এই আসন। পেটের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে বেশ কার্যকর এই আসনটি। মানসিক উদ্বেগ কমাতেও সহায়তা করতে পারে এই আসন।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
বীরভদ্রাসন
১। দুই পা দু’দিকে পর্যাপ্ত দূরত্বে ছড়িয়ে দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ান।
২। দু’হাত কান বরাবর উপরের দিকে তুলে নমস্কারের ভঙ্গিতে দাঁড়ান। হাত যেন একদম সোজা ও আকাশের দিকে মুখ করা থাকে।
৩। এর পর এক দিকে ঘুরে সেই দিকের হাঁটু ধীরে ধীরে ভাঁজ করুন। পিছনের পা ও শরীর সোজা রেখে উপরের দিকে তাকান।
৪। ২০ সেকেন্ড স্থির হয়ে থেকে ২০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিন, তার পর অন্য দিকে আবার করুন ২০ সেকেন্ডের জন্য।
উপকারিতা: এই আসনে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ভাল থাকে দেহের ভারসাম্য। পাশাপাশি এই আসনে ভাল থাকে যৌন জীবনও। তবে মনে রাখুন মেরুদণ্ড, অস্থি সন্ধি বা হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞদের নজরদারি ছাড়া এই সব আসন না করাই শ্রেয়।