খাওয়ার পর কোন কাজগুলি করবেন না? ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকার কিছু নিয়ম আছে। সেই নিয়ম শুধু ডায়েট আর শরীরচর্চাতেই সীমাবদ্ধ থাকে না। আরও অনেক বিষয় থাকে, যেগুলি মেনে চললে সুস্থ থাকা অনেক সহজ হয়ে যায়। সুষম খাবার খাওয়া তার মধ্যে অন্যতম। সময়মতো স্বাস্থ্যকর খাবার না খেলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু সময়ে খাবার খেয়েও শরীর খারাপের ঝুঁকি থেকে যায়। সুস্থ থাকতে আরও এক ধাপ এগোতে হবে। কিছু কাজ রয়েছে, যেগুলি খাবার খাওয়ার পর এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
স্নান করা
খাবার খাওয়ার পর স্নান করার অভ্যাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। স্নান করে খেলে যে উপকার মেলে উল্টোটার ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে। বিশেষ করে গরম খাবার খাওয়ার পরে স্নান করা একেবারেই ঠিক নয়। এতে মারাত্মক আকারে হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে।
চা-কফি খাওয়া
দিনে অন্তত কয়েক বার চা, কফির কাপে চুমুক না দিলে বাঙালির চলে না। তবে খাবার খাওয়ার পর চা, কফি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। চা, কফিতে থাকা ক্যাফিন খাবার সহজে হজম হতে দেয় না। আর খাবার ঠিক করে হজম না হলে পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে।
জল খাওয়া
খাবার খাওয়ার পর কিংবা খেতে খেতে জল খাওয়া একেবারেই ঠিক না। পুষ্টিবিদদের মতে, খাবার খাওয়ার পর জল খেলে খাবার হজমে বিঘ্ন ঘটে। খাওয়ার পর এক ধরনের উৎসেচক ক্ষরণ হয় শরীরে। জল সেই উৎসেচক ক্ষরণে বাধা দেয়। তাই সবচেয়ে ভাল হয় যদি, খাবার খাওয়ার আগেই জল খেয়ে নিতে পারেন।
খাবার খাওয়ার পর কিংবা খেতে খেতে জল খাওয়া একেবারেই ঠিক না। ছবি: সংগৃহীত।
ঘুমিয়ে পড়া
খেয়ে উঠে হাঁটাচলা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। হাঁটাহাঁটি করলে হজমের গোলমাল নিয়ে ভাবতে হয় না। খাবার খাওয়ার পরেই ঘুমিয়ে পড়েন অনেকে। এর ফলে ওজন বাড়তে থাকে। শরীরে আলসেমিও চলে আসে।
ফল খাওয়া
সুস্বাস্থ্য পেতে ফল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু খাবার খাওয়ার পর ফল খাওয়া ঠিক নয়। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। ফলে বিভিন্ন অ্যাসিড থাকে। খাওয়ার পরেই ফল খেলে অম্বল হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি এড়াতে খাবার খাওয়ার পর ফল খাওয়া বন্ধ করুন।
ধূমপান
ধূমপান শরীরের জন্য এমনিই অস্বাস্থ্যকর। খাবার খাওয়ার পর ধূমপানের অভ্যাস অত্যন্ত ক্ষতিকর। খাবারের মধ্যে থাকা নানা ধরনের স্বাস্থ্যকর উপাদান শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে শোষণ করতে পারে না। ফলে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হয় শরীরে।