চক্রাসন। ছবি: সংগৃহীত
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স বাড়বে। ধরা দেবে বার্ধক্য। যা অনিবার্য এবং একই সঙ্গে স্বাভাবিকও। বয়স তো শুধু সংখ্যা মাত্র। সে তার আপন নিয়মে বেড়ে চলে। শৈশব থেকে যৌবনের এই সময়ে শরীরের নিজের একটা লাবণ্য থাকে। যেটা চেষ্টা করে ধরে রাখার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু বয়সের কোঠা যখন যৌবন ছাড়িয়ে বার্ধক্যের দিকে এগোয়, তখন সেই লাবণ্য ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে। শরীরের অন্দরে নানা সমস্যার শুরু হয়। বিপাক প্রক্রিয়াও স্বাভাবিক থাকে না। ত্বকে সজীব কোষের সংখ্যা কমতে থাকে। জীবনের এই সময়ে বার্ধক্যকে হারিয়ে চির যৌবন ধরে রাখতে ভরসা রাখুন এই তিনটি যোগাসনে।
হলাসন
প্রথমে চিৎ হয়ে টানটান করে শুয়ে পড়ুন। পা দুটি একসঙ্গে জোড়া করে উপরে তুলে ধরে হাত দুটি দিয়ে কোমর ধরে রাখুন। এ বার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে দুই পা কোমর থেকে ভাঁজ করে হাঁটু পা ভেঙে পায়ের আঙুল মাটি স্পর্শ করান। এই ভঙ্গিতে শ্বাস-প্রশ্বাস অল্প অল্প করে নিন এবং ছাড়ুন। স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার সময় পা দুটি টানটান করে উপরের দিকে রাখুন। হাত কোমর থেকে সরিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন। কোমর থেকে হাত সরিয়ে নিতম্ব মাটিতে ছোঁয়ান। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা মাটিতে রাখুন। এই আসনটি দিনে ২ থেকে ৩ মিনিট করুন। তবে কারও যদি ঘাড়ে ও কোমরে ব্যথা থাকে তাহলে এই আসন এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
হলাসন। ছবি: সংগৃহীত
চক্রাসন
দুই পায়ের মাঝখানে কাঁধের থেকে দূরত্ব রেখে শুয়ে পড়ুন। পায়ের ভাঁজ করে এমন অবস্থানে রাখুন যাতে নিতম্বের সঙ্গে গোড়ালির স্পর্শ লাগে। দুই হাত উপরে তুলে মাথার দু’পাশে হাতের তালু দুটি মাটিতে রাখুন। দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে প্রথমে নিতম্ব ও কোমর উপরে তুলুন। হাতে ভর রেখে পিঠ ও মাথা উপরে তুলে ফেলুন। আসন থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার সময়ে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পিঠ ও তারপরে কোমর নামিয়ে নিন। দৈনিক ২ থেকে ৫ বার এটি করুন। তবে যাঁরা উচ্চরক্তচাপে ভোগেন তাঁদের এই আসনটি না করাই ভাল।
পশ্চিমোত্তনাসন
প্রথমে দুই পা টানটান করে সোজা হয়ে বসুন। শ্বাস নিতে নিতে দুই হাত মাথার উপরে তুলুন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাতসহ কোমর থেকে সামনের দিকে বেশ খানিকটা ঝুঁকে মুখ হাঁটুতে স্পর্শ করুন। আসন করার সময় পেট ভিরের দিকে হালকা টেনে রাখুন। আগের অবস্থায় ফেরার সময় শ্বাস নিতে নিতে হাত ওঠান এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত নামিয়ে নিন। দিনে তিন থেকে পাঁচ বার এটি করুন। পিঠে ব্যথা থাকলে চক্রাসন না করাই উচিত হবে।