শরীরের ওজন অনেকাংশে নির্ভর করে বিপাক হারের উপর। ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান প্রজন্ম নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে অত্যন্ত সচেতন। বিশেষ করে ওজন নিয়ে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক পরিশ্রমও করে থাকেনসকলে। সকাল হতেই জিমে যাওয়া। নামমাত্র খাওয়া। তবে নিয়মিত শরীরচর্চা আর অল্প খাওয়াদাওয়া করলেই ওজন কমে না। সব কিছুরই নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি আছে। শরীরের ওজন অনেকাংশে নির্ভর করে বিপাক হারের উপর। বিপাক হার কমলে ওজন বাড়ে। কিন্তু এমন কিছু পানীয় আছে যেগুলি বিপাক হার বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি শরীরে যাবতীয় দূষিত বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বার করে দিয়ে শরীর রাখবে ঝরঝরে। সেই জাদু পানীয় কোনগুলি?
ছবি: সংগৃহীত
জিরে ভেজানো জল
কম ক্যালোরি যুক্ত জিরেতে রয়েছে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য যা শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও জিরেতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এ, সি, ম্যাঙ্গানিজের মতো উপকারী খনিজ পদার্থ। এক কাপ জলে এক চামচ গোটা জিরে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সামান্য দারচিনি মিশিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। তার পর জল ছেঁকে পান করুন। নিয়মিত এটি খেতে পারলে উপকার পাবেন।
আপেল সাইডার ভিনিগার
প্রতি দিন সকালে আপেল সাইডার ভিনিগার পান করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি টাইপ ২ ডায়াবিটিস, একজিমা, কোলেস্টেরলের মতো সমস্যাও নিরাময় হয়। পেটের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে আপেল সিডার ভিনিগার অপরিহার্য। এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ আপেল সাইডার ভিনিগার ও মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন খেতে পারেন।
আমলকি ও জিরে
আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি৬, কপার, ম্যাঙ্গানিজ এবং পটাশিয়াম। এই উপকারী উপাদানগুলি বিপাক হার বৃদ্ধি করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে আমলকি। এক কাপ গরম জলে আধ কাপ আমলকির রস ও অল্প পরিমাণে ভাজা জিরে গুঁড়ো মেশান। মিশ্রণটি ভাল করে মিশিয়ে পান করুন। বাড়তি ওজন কমবে। শরীরও থাকবে সুস্থ।