আর্থরাইটিসের ব্যথা কমাতে রোজের জীবনে কোন নিয়মগুলি মেনে চলবেন? ছবি: সংগৃহীত
বাড়ির বয়স্ক সদস্যেদের হাঁটুর ব্যথায় কাতরাতে দেখে বাতের ব্যথা বলে যেটা ধরে নেওয়া হয়, বিজ্ঞানের ভাষায় তারই নাম আর্থরাইটিস। বাতের ব্যথায় ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। ৬০ বছরের উপরে ১৮ শতাংশ মহিলা ও ৯.৬ শতাংশ পুরুষ বাতের ব্যথায় কাতর। অস্টিয়োআর্থরাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস— এই দু’ধরনের আর্থরাইটিস দেখা যায়। যে কোনও বয়সেও এই দু’ধরনে আর্থরাইটিস দেখা দেয়। ওষুধ তো রয়েছেই, এই ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মমাফিক জীবনযাপন করাটাও জরুরি। জীবনযাত্রার গতিপথে পরিবর্তন আনতে পারলে ব্যথা কিছুটা হলেও হাতের মুঠোয় থাকবে।
আর্থরাইটিসের ব্যথা কমাতে রোজের জীবনে কোন নিয়মগুলি মেনে চলবেন?
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
বেশি ওজন আর্থরাইটিসের অন্যতম কারণ। শরীরের বাড়তি ওজনে হাঁটুর উপর চাপ পড়ে। এতে ব্যথা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর্থরাইটিস মূলত স্থূল ব্যক্তিদের মধ্যেই দেখা যায়। চেষ্টা করে ওজন কমিয়ে ফেললে এই রোগ অনেক সহজে জব্দ করা সম্ভব। চিকিৎসকরাও আর্থরাইটিসের রোগীদের ওজন কমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর্থরাইটিস ধরা পড়লে অতি অবশ্যই ওজন কমানোর দিকে নজর দিন।
নিয়মিত শরীরচর্চা
যেকোনও রোগের অন্যতম ওষুধ হল শরীরচর্চার অভ্যাস। শরীরের প্রতিটি অঙ্গের সঞ্চালন খুব গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক কসরত মানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ঘাম ঝরানো নয়। সারা দিনে ৩০ মিনিট হলেও শরীরচর্চার সময় বার করে নিন। এতে শুধু ওজন নয়, বাতের ব্যথাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আর্থরাইটিসের সমস্যায় যোগাসন খুব গুরুত্বপূর্ণ। রোজের শরীরচর্চার তালিকায় রাখতেই হবে সেতুবন্ধ, ভুজঙ্গাসনের মতো বেশ কয়েকটি যোগব্যায়াম।
ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার আর্থরাইটিসের রোগীর জন্য প্রয়োজনীয়। এই ভিটামিনগুলির অভাবে হাড় সংক্রান্ত নানা ব্যথা-বেদনার জন্ম হয়। আর্থরাইটিস থাকলে প্রতি দিনের পাতে অতি অবশ্যই রাখতে হবে ফল, সামুদ্রিক মাছ, সবুজ শাকসব্জির মতো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার।
তেল-মশলা জাতীয় খাবার না খাওয়া
এই রোগে তেল-মশলা আছে এমন খাবার বেশি না খাওয়াই শ্রেয়। এতে ব্যথার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। বাইরের খাবার, পাঠার মাংস, টম্যাটো, ডিম— এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়। এতে ব্যথা বাড়তে পারে।