জোয়ানের গুণেই দূর হবে অনিদ্রার সমস্যা।
মুখশুদ্ধি হিসাবে জোয়ানের কদর কম নয়। অনেকে আবার অম্বল হলেও জোয়ান খান। একটু জোয়ান চিবিয়ে নিয়ে ঈষদুষ্ণ জল খেলেই স্পল্প সময়েই আরাম পাওয়া যায়। তবে এ ছাড়াও অনেক উপকার করে জোয়ান। রোজ সামান্য জোয়ান খেলে অনেক রোগ থেকেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, জোয়ান নানা রোগের দাওয়াই হতে পারে। হজমের সমস্যা তো আছেই, সর্দি-কাশির সমস্যা হলেও জোয়ানেই মিলতে পারে আরাম। আর কী কী স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে জোয়ানের?
১) সামনেই দুর্গাপুজো! ওজন বাগে আনতে কতই না কসরত করতে হচ্ছে! স্থূলতার সমস্যায় কিন্তু এই মশলা দারুণ কাজে আসতে পারে। রোজ রাতে এক গ্লাস জলে কিছুটা জোয়ান ভিজিয়ে রেখে পর দিন সকালে খেলে বিপাক হার বাড়ে। আর বিপাক হার বাড়লেই ওজজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
২) পেটের যে কোনও সমস্যায় কাজে লাগতে পারে জোয়ান। পেট ব্যথা, বমি ভাব, অম্বল— সবেতেই কাজে লাগে জোয়ান। এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আছে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।
প্রতীকী ছবি
৩) ঋতুস্রাবের সময়ে পেটের যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েন অনেক মহিলাই। জোয়ান কিন্তু দারুণ বেদনানাশক হিসাবেও কাজ করতে পারে। এই সময়ে পেটে যন্ত্রণা হলে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে জোয়ান মিশিয়ে খেয়ে নিলেই মিলবে আরাম।
৪) অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন? তা হলে রোজ রাতে শোয়ার আগে একটু জোয়ান মুখে পুড়ে দিলেই দূর হবে সমস্যা।
৫) সর্দি হলে অনেক সময় মাথায় যন্ত্রণা হয়। রোদ থেকে ফিরেও অনেক সময় এই সমস্যায় পড়তে হয়। তখন বেদনানাশক ওষুধেই ভরসা রাখা ছাড়া উপায় থাকে না। এ রকম সমস্যা হলেও কাজে আসতে পারে জোয়ান। একটি কাপড়ে বেশ খানিকটা জোয়ান বেঁধে নিন। হাতে ঘষে বার বার গন্ধ শুকতে থাকুন। এতেই মাথা ব্যথা কমবে।