ছবি: সংগৃহীত
ওজন কমিয়ে রোগা হতে চান অনেকেই। তার জন্য পরিশ্রমও কম করেন না। জিমে যাওয়া, মেপে খাওয়াদাওয়া করা, হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো— বিস্তর চেষ্টার পরেও অনেক সময় ওজন কমতে চায় না। কিংবা কমলেও তা না কমারই মতো। ওজন কমানোর এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় তখন অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এত পরিশ্রম না করে সকালের কয়েকটি কাজের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে রোগা হওয়ায় মন্ত্র।
১) সকাল শুরু করুন দ্রুত: সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা নিয়ে বলা বাহুল্য। এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ৮ ঘণ্টা ঘুম যথেষ্ট। তার বেশি ক্ষণ হলে হজমের গন্ডগোল দেখা দিতে পারে। দেরি করে ওঠার ফলে নির্দিষ্ট সময় ধরে শরীরচর্চা করা যায় না। ভেবেচিন্তে স্বাস্থ্যকর জলখাবার বানানোও হয়ে ওঠে না। তাড়াতাড়ি বিছানা ছাড়লে সময় নিয়ে ব্যায়াম, প্রাতরাশ সবই নিয়মমাফিক হয়।
২) ধ্যান: সারা দিনের জন্য নিজেকে চনমনে রাখতে মেডিটেশন বা ধ্যানের বিকল্প নেই। ৫-১০ মিনিট ধ্যান করে নিলে মন এবং মাথা শান্ত থাকবে। শরীরের ভিতর থেকে শক্তি পাওয়া যাবে। রোজ ধ্যান করার অভ্যাসে ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
৩) এক গ্লাস হালকা গরম জল: এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ গরম জল খেয়ে সকাল শুরু করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে রোগা হতে চাইলে গরম জল বেশ কার্যকর। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বার করে দিতে গরম জলের জুড়ি মেলা ভার। হজমের উন্নতিতেও দারুণ সাহায্য করে গরম জল।
৪) জলখাবারে প্রোটিন: ওজন কমানোর সময়ে অনেকেই প্রোটিন ঠিক মতো খান না। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভরপুর প্রোটিন আছে এমন খাবার অনেকক্ষণ পেট ভরতি রাখতে সাহায্য করে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কম থাকে। অনেকক্ষণ ধরে শরীরচর্চা করার শক্তিও জোগায় উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার।
৫) শরীরচর্চা: ওজন কমানোর অন্যতম অস্ত্র। রোগা হতে চাইলে নিয়মিত শরীরচর্চা করতেই হবে। এর বিকল্প কিছু নেই। জিমে হোক বা বাড়িতে, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখতে হবে। সকালের দিকে শরীরচর্চা করে নিলে তা ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় বেশি প্রভাব ফেলে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।