ওজন কমানো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। ছবি: সংগৃহীত
ওজন কমানো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে অনেকেই বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে থাকেন। কখনও বেশি ব্যায়াম করে। কখনও বা আবার খাওয়া কমিয়ে রোগা হওয়ার চেষ্টা করে। এর মাঝেই খেয়াল রাখতে হয় ওজন কম রাখতে কোন খাবার খাওয়া জরুরি।
এ সব ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদরা ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ফল খেলে ওজনও বাড়বে না বা আবার শরীরও সুস্থ থাকবে। কিন্তু কোন ফলগুলি ওজন কমানোর পক্ষে কার্যকর তা অনেকেই প্রাথমিক ভাবে বুঝতে পারেন না।
ওজন কমানোর উপকারী ফল কোনগুলি?
আঙুর
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আঙুর বেশ উপকারী একটি ফল। এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। তবে এতে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি। আঙুরের গ্লাইসেমিক সূচকও অনেক কম। তাই এর স্বাদ মিষ্টি হলেও রক্তে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা নেই। গবেষণায় দেখা গিয়েছে আঙুরের রস পান করার ফলে শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। ওজনও কমেছে। কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকছে।
ফল খেলে ওজনও বাড়বে না বা আবার শরীরও সুস্থ থাকবে। ছবি: সংগৃহীত
আপেল
ওজন কমানোর জন্য ফাইবার খুবই উপকারী একটি উপাদান। আপেলে রয়েছে ভরপুর ফাইবার। আপেলে ক্যালোরিও আছে। তবে পরিমাণে কম। বরং ভিটামিন, মিনারেল, এবং ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। আপেল দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পেতে এবং ওজন কমাতে খোসা সহ ফল খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যাবে।
তরমুজ
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। এ ছাড়াও রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন সি ও এ। যা ওজন কমাতে খুব কার্যকর। প্রতি দিন তরমুজ খেলে মেদ ঝরবে দ্রুত। ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
পেঁপে
পেঁপেতে ফ্যাট অনেক কম। প্রায় থাকে না বললেই চলে। পেঁপেতে থাকা এনজাইম হজমে সাহায্য করে। ওজন কমানোর জন্য সঠিক ভাবে হজম হওয়াটা জরুরি। রোজ পেঁপে খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। সঙ্গে ওজন কমবেদ্রুত।
অ্যাভোকাডো
প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফল অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। ফলে বারে বারে খাওয়ার প্রবণতাও অনেকাংশে হ্রাস পায়। অ্যাভোকাডোতে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড পেটে জমে থাকা মেদ কমাতে খুবই সাহায্য করে।