জীবনযাপনে খানিক বদল আনলে প্রায় ৪০শতাংশ পর্যন্ত ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করা যায়। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর হিসাব অনুসারে, সারা বিশ্বে প্রায় পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন,জীবনযাপনে খানিক বদল আনলে প্রায় ৪০শতাংশ পর্যন্ত ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করা যায়।
অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ৫ লক্ষ বাসিন্দা ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত। ২০৫৮ সালে এই সংখ্যাটি ১.১ মিলিয়নে পৌঁছবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে যে শুধু স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়, এমন নয়। ডিমেনশিয়ায় ভোগা ব্যক্তিরা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, অতিরিক্ত ওজনের মতো নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এ ছাড়া মস্তিষ্কে অক্সিজেন কমে যেতে পারে।
দৈনন্দিন জীবনযাপনে যদি খানিক পরিবর্তন আনা যায়, তাহলে একই সঙ্গে ডিমেনশিয়া এবং হদ্রোগের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।
ছবি: সংগৃহীত
সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার অভ্যাস করুন
রোজ না হোক, অন্তত সপ্তাহে দু’ থেকে তিন দিন ওমেগা-থ্রি সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। ওমেগা-থ্রি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ছাড়া মস্তিষ্কে কোষের গঠন এবং কার্যকারিতা পরিচালনা করতেও ওমেগা-থ্রি খুবই কার্যকরী।
প্রতিদিন শাকসব্জি খান
প্রতিদিনের খাবারেভিটামিন-সি, ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ সবুজ শাকসব্জি রাখুন। এই খাবারগুলিতে আছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান।তা শরীরের প্রদাহ কমাতে এবং রক্তচলাচল সচল রাখতে সাহায্য। এ ছাড়াও এই খাবারগুলি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন
প্রক্রিয়াজাত মাংস, প্রক্রিয়াজাত বাইরের খাবার উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ ২ ডায়াবিটিস, ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। এই খাবারের পরিবর্তে ভিটামিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইট্রোনিউট্রিয়েন্ট, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান।
শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখুন
নিয়মিত শরীরচর্চা, ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি অভ্যাস করুন। শারীরিক কার্যকলাপ রক্তনালী সচল রাখার পাশাপাশি শরীরে ও মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহও করে। এর ফলে স্মৃতিশক্তিও উন্নত হয়।
ধূমপান এড়িয়ে চলুন
যাঁরা নিয়মিত ধূমপান করেন, তাঁদের ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।অতিরিক্ত ধূমপানের অভ্যাস অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বৃদ্ধি করে রক্তনালীর কার্যকারিতাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।