কোন কোন শুকনো ফল ডায়াবেটিকদের জন্য বিপজ্জনক। ছবি: ফ্রিপিক।
ডায়াবিটিস শরীরে বাসা বাঁধলেই জীবনে চলে আসে হাজার রকম বিধিনিষেধ। ডায়াবেটিকদের ভাতের পরিমাণ, চিনি, আলু বা কন্দজাতীয় খাবার যেমন ডায়েটে কম রাখতে হয়, তেমনই কিছু ফলও বাদ পড়ে যায় তাঁদের তালিকা থেকে। মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া একেবারেই বাদ দিতে হয়। খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে না চললে ডায়াবিটিস বশে রাখা সহজ নয়। যদি ড্রাই ফ্রুটস বা শুকনো ফল খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তা হলেও খেয়াল রাখতে হবে যে সব ড্রাই ফ্রুটস কিন্তু ডায়াবিটিসের রোগীরা খেতে পারবেন না। কারণ কিছু শুকনো ফলে প্রাকৃতিক চিনির মাত্রা এতটাই বেশি যে তা নিয়মিত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
কী কী শুকনো ফল খাবেন না?
১) কিশমিশ বেশি খাবেন না। কিশমিশে রয়েছে গ্লুকোজ় এবং ফ্রুক্টোজ়ের মতো প্রাকৃতিক শর্করা। যা শরীরে জন্য উপকারী কিন্তু ডায়াবিটিসের রোগীরা বেশি পরিমাণে খেতে শুরু করলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
২) ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার ও আয়রনে সমৃদ্ধ খেজুর শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। কিন্তু খেজুরে শর্করার পরিমাণ বেশি। ডায়াবেটিকদের জন্য এই ফল খাওয়া বিপজ্জনক।
৩) শুকনো ডুমুরে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তাই খুব বেশি পরিমাণে এই ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রায় হঠাৎ পরিবর্তন আসতে পারে। ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য যা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৪)ডায়াবিটিসের রোগীরা কিন্তু ভুলের আলুবোখরার চাটনি খাবেন না। এতে কার্বোহাইড্রেট ও শর্করার মাত্রা প্রচণ্ড বেশি।
৫) শুকনো অ্যাপ্রিকট পুষ্টিকর হলেও ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য উপকারী নয়। এতে প্রাকৃতিক শর্করার মাত্রা এতটাই বেশি যে, ডায়াবিটিসের রোগীরা যদি প্রতি দিন খেতে শুরু করেন, তা হলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
৬)ক্র্যানবেরি বিপাক হার বাড়ায়, হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখে। মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা কমাতে শুকনো ক্র্যানবেরি খাওয়ারই পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু ডায়াবেটিকদের জন্য ক্র্যানবেরি মোটেও উপকারী নয়। বরং খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে।
৭) শুকনো আনারস ভুলেও খাবেন না ডায়াবিটিসের রোগীরা। এতে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানীজ, ভিটামিন এ, বি ও সি বেশি পরিমাণে থাকলেও শর্করার মাত্রাও বেশি। তাই ডায়াবেটিকদের জন্য একেবারেই উপকারী নয়।