—প্রতীকী ছবি।
নখের সাজসজ্জায় ইদানীং নেল আর্ট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে কৃত্রিম নখ আঠা দিয়ে লাগিয়ে তার উপর কারুকাজ করা পছন্দ করেন না অনেকে। তাই শুধু নেল আর্ট নয়, বেশ জনপ্রিয় জেল নেলপলিশও। কৃত্রিম নখ ধাক্কা লেগে অসাবধানে উঠে যেতেও পারে। কিন্তু নেলজেলের ক্ষেত্রে এই সমস্যা সচরাচর দেখা যায় না। তাই নখের সৌন্দর্য বেশ অনেক দিন পর্যন্ত অক্ষত থাকে। খরচা করে নখে সেই সব কারুকাজ করার পর অনেকেই চান তা রেখে দিতে। এ দিকে স্বাভাবিক নিয়মে নখ বড় হতে থাকায় জেলের পরত নখের সঙ্গে একটু একটু করে নীচের দিকে নামতে থাকে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, নখে জেলের পরত এবং নতুন নখ গজানোর সংযোগস্থলটিই ছত্রাক এবং নানা ধরনের রোগজীবাণুর আঁতুড়ঘর। বিশেষ করে পায়ের নখের ক্ষেত্রে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক কেইরা ম্যুর বলেন, “জেলপলিশ এবং আসল নখের সংযোগস্থলে নীলচে সবুজ রঙের কিছু দেখলেই সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত। এটি আসলে এক প্রকার ছত্রাক। জেলপলিশের স্তর এবং আসল নখের মাঝে ফাঁকা অংশেই ছত্রাক বাসা বাঁধে।” চাইলেই সাধারণ রিমুভার দিয়ে তা তুলে ফেলা যায় না। সালোঁয় গিয়ে খরচ করে জেলপলিশ তুলতে হয়। এই অতিরিক্ত খরচ এড়াতে অনেকেই এই জেলপলিশ রেখে দেন।
সংক্রমিত হাতের নখ থেকে খাবারের মাধ্যমে ছত্রাক সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে। যা থেকে পরবর্তী কালে বুক, মূত্রনালি, কান, চোখ, এমনকি রক্তও সংক্রমিত হতে পারে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়ও বাতলে দিয়েছেন চিকিৎসক। নখে এই ধরনের সমস্যা দেখলে প্রথমেই সতর্ক হতে হবে। নখে কারুকাজ করালেও নিয়মিত পেডিকিওর বা ম্যানিকিওর করাতে হবে। যাতে নখের সংযোগস্থলে কোনও ভাবেই ছত্রাক বাসা বাঁধতে না পারে। এক বার সংক্রমণ হয়ে গেলে নতুন নখ গজানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তত দিন পর্যন্ত নখে কোনও কারুকাজ করা যাবে না।