ভিটামিন ডি-র মাত্রা কমে গেলে অ্যালঝাইমার্সের মতো স্নায়ুর রোগ হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। প্রতীকী ছবি।
ভিটামিন ডি শরীরের অভ্যন্তরেই উৎপন্ন হয়। এর পর্যাপ্ত মাত্রা শরীরে ক্যালশিয়াম এবং ফসফরাস শোষণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তা ছাড়াও, এই ভিটামিন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে, বিভিন্ন সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। হাড় এবং দাঁতের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশকে স্বাভাবিক করে তোলে ভিটামিন ডি।
শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ কমে গেলে তার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কের উপরেও। এই ভিটামিন মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ সচল রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি স্নায়ু সংক্রান্ত রোগের জন্ম দেয়। ‘নিউরোসাইকোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার’, ‘নিউরোডিজেনারেটিভ’-এর মতো রোগ দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ডি-র মাত্রা কমে গেলে মাল্টিপ্ল স্ক্লেরোসিস, অ্যালঝাইমার্স, পারকিনসন্স, নিউরোকগনিটিভ ডিজ়অর্ডারের মতো স্নায়ুর রোগ হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। আগে থাকতে সাবধান হলে এ সব রোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। কোন কোন উপসর্গ দেখে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হয়েছে?
হাড় এবং দাঁতের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশকে স্বাভাবিক করে তোলে ভিটামিন ডি। ছবি: সংগৃহীত।
১) ভিটামিন-ডি-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাগুলির মধ্যে একটি হল দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী রাখা যাতে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হয় দেহ। যদি ঘন ঘন ভাইরাল জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন, তা শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।
২) হঠাৎ করে চুল পড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিলে খেয়াল করতে হবে শরীরে ভিটামিন ডি কমে গিয়েছে কি না।
৩) হাড় এবং পেশিতে দুর্বলতা এবং ব্যথা, অস্থিসন্ধিগুলির বিকৃতি এবং দীর্ঘস্থায়ী পিঠে ব্যথা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির উপসর্গ হতে পারে।
৪) শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কম হলে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ দেখা দিতে পারে, যা ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন করতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে, ভাল ভাবে বিশ্রাম নিয়েও যদি আপনি অলস এবং ক্লান্ত বোধ করেন তবে এটি ভিটামিন ডি-র অভাবের সূচক হতেই পারে।
৫) খিদে পেলেও খেতে ইচ্ছে করছে না। খিদে কমে যাওয়াও হতে পারে ভিটামিন ডি ঘাটতির লক্ষণ।
কেবল সূর্যরশ্মি থেকেই নয়, রোজের খাদ্যাভ্যাসে সামান্য কিছু বদল আনলেও শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি মেটানো সম্ভব। শরীরে এই ভিটামিনের পর্যাপ্ত জোগান দিতে ডায়েটে বেশি করে দই, দুধ, ছানা, মাছ, মাশরুম, ওট্স, পালং শাকের মতো খাবার রাখতে হবে।