মৃত্যুমুখ থেকে ফিরেছেন হৃতিকের বোন সুনয়না। ছবি: সংগৃহীত।
জরায়ুতে লিম্ফোমা ধরা পড়েছিল। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, বেঁচে থাকার কথাও ছিল না। তবু সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পেয়ে মৃত্যুমুখ থেকে ফিরেছেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের সেই কাহিনি শোনালেন হৃতিক রোশনের বোন সুনয়না রোশন। দাদার মতো ক্যামেরার সামনে কখনও কাজ করতে চাননি তিনি। বরাবরই ক্যামেরার পিছনের কর্মকাণ্ড তাঁকে টানত সুনয়না। আর তাই বাবা রাকেশ রোশনের সঙ্গে সহযোগী প্রযোজক হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। সুনয়না স্মৃতির ঝাঁপি খুলে জানিয়েছেন, বাবা রাকেশর সঙ্গে একটি ছবির প্রযোজনার কাজে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সেই সময় বুঝতে পারেন শরীরে কোনও বড় রোগ বাসা বেঁধেছে। তার প্রথম ইঙ্গিত পান যখন দলা পাকানো ঋতুস্রাব হতে থাকে। ভয় পেয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জরায়ুতে লিম্ফোমা ধরা পড়ে। স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছিলেন সুনয়না। ক্যানসার হয়েছে শুনে সুনয়না চিকিৎসককে প্রথম প্রশ্নটি করেন, ‘‘আমার কি সব চুল পড়ে যাবে?’’ সুনয়না জানিয়েছেন, পরিবার পাশে ছিল বলে দাঁতে দাঁত চেপে দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন।
জরায়মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি ইদানীং বেড়েছে। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, প্রতি বছর প্রায় কয়েক লক্ষ মহিলা এই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তবে জরায়ুমুখের ক্যানসার আর জরায়ুতে লিম্ফোমা একই রোগ নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, লিম্ফোমা জরায়ুর লিম্ফয়েড কোষ থেকে জন্ম নেয়। এক ধরনের রক্তপিণ্ড। এই ধরনের ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা অনেক কম। সতর্ক এবং সচেতন থাকার জন্য এই ক্যানসারের উপসর্গগুলি জেনে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কী এই ক্যানসারের উপসর্গ?
যোনি থেকে রক্তপাত
অনেক সময় ঋতুস্রাব চলাকালীন দলা পাকানো রক্ত বেরোতে পারে। এটা অন্যতম উপসর্গ। আবার সঙ্গমের পরেও রক্তপাত এই ক্যানসারের ইঙ্গিত। রজোনিবৃত্তির পরেও মাঝেমাঝে যোনি থেকে রক্তপাত হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।
ঘন ঘন শ্বেতস্রাব
জরায়ুতে লিম্ফোমা হওয়ার একটি ইঙ্গিত হতে পারে শ্বেতস্রাব। ধারবাহিক ভাবে অথবা মাঝেমাঝেই এটা হতে পারে। অনেক সময় শ্বেতস্রাবের সঙ্গে মিশে থাকে রক্তও। দুর্গন্ধও হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তরল শ্বেতস্রাব হয়।
শ্রোণিদেশে ব্যথা
শ্রোণিদেশ এবং সংলগ্ন অংশে তীব্র ব্যথা এই রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। অনেক সময় যা ঋতুস্রাবের ব্যথা বলে ভুল হয়। কিংবা সিস্টের কারণে এমন হচ্ছে বলেও মনে হতে পারে। তবে ব্যথার উৎস নিজে বিচার না করে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি।