ছবি: সংগৃহীত।
বাড়ন্ত বয়সে বাদাম খাওয়া যে কতটা জরুরি, আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। বাদামে এমন অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে, যেগুলি বেড়ে ওঠার সময় শিশুর শরীরে ভরপুর পরিমাণে থাকা জরুরি। তবে চিপ্স, চানাচুর, লজেন্সের প্রতি খুদের আকর্ষণ থাকলেও শুকনো চিনেবাদাম বিশেষ ভাল লাগার জিনিস নয়। মশলাদার চিপ্সের বিকল্প হিসাবে বাদাম কোনও ভাবেই মান্যতা পায় না খুদের কাছে। কৌশলে খুদেকে কী ভাবে বাদাম খাওয়ানো যায়, তা নিয়ে বাবা-মায়েদের চিন্তার শেষ নেই। তবে রান্নায় বিভিন্ন ভাবে বাদাম ব্যবহার করতে পারেন। শিশু বুঝতে পারবে না।
ঝোল ঘন করতে
মাংস, ডিমের কোনও পদে বাদাম বেটে দিতে পারেন। বাদাম দিলে রান্নার স্বাদ বাড়বে তো বটেই। ঝোলও বেশ ঘন এবং মাখামাখা হবে। থকথকে হলে খেতেও ভাললাগে। সেই সঙ্গে শিশুকে বাদাম খাওয়ানোর উদ্দেশ্যেও পূরণ হবে।
স্যালাড
বাদামে প্রোটিনের পরিমাণ অফুরন্ত। খুদের শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে বাদাম দিয়ে স্যালাড বানিয়ে দিতে পারেন। টিফিন হিসাবেও অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। পেটও ভর্তি থাকবে দীর্ঘ ক্ষণ।
মিষ্টি
বাদাম দিয়ে বাড়িতে মিষ্টিও তৈরি করতে পারেন। তবে চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করলে ভাল। বাদাম চিট বেশ সুস্বাদু হয়। এ ছাড়াও বাদাম দিয়ে কুকিজ়, বরফি, লাড্ডুও বানিয়ে দিতে পারেন খুদেকে। সোনামুখ করে খেয়ে নেবে।
চাটনি
খেজুর, আম, আমসত্ত্বের চাটনি তো খেয়েছেন। বাদামের চাটনি এক বার চেখে দেখতে পারেন। বাদামের চাটনি এক বার যে খেয়েছে, স্বাদ জিভে লেগে আছে নিশ্চিত। তা ছাড়া খাবারের সঙ্গে বাদামের চাটনি বেশ ভাল লাগবে।