কানে কম শোনার নেপথ্যে থাকতে পারে অপুষ্টি এবং পর্যাপ্ত খাওদাওয়ার অভাব। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বা়ড়লে যে শারীরিক সমস্যাগুলির মুখোমুখি হতে হয়, কানে কম শোনা তার মধ্যে অন্যতম। বার্ধক্যের একটি অপরিহার্য অংশ যেন বধিরতা। শুধুমাত্র বয়সজনিত কারণেই যে কানের এমন সমস্যা হতে পারে, তা কিন্তু নয়। কানে কম শোনার নেপথ্যে থাকতে পারে অপুষ্টি এবং পর্যাপ্ত খাওদাওয়ার অভাব। কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে, যেগুলি সঠিক পরিমাণে শরীরে প্রবেশ না করলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। তাই বয়সকালে বধিরতার আশঙ্কা এড়াতে রোজের পাতে কোন খাবারগুলি রাখবেন?
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
হিয়ারিং হেলথ ফাউন্ডেশনের মতে, শ্রবণশক্তি হ্রাস প্রতিরোধ করতে খুবই জরুরি পটাশিয়াম। দেহে বিভিন্ন তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে এই মৌল। অন্তঃকর্ণে তরল পদার্থ থাকে। তাই অন্তঃকর্ণ ভাল রাখতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কালো ডাল, আলু এবং কলার মতো খাবারে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়ামে থাকে।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
শ্রবণশক্তি ভাল রাখতে সহায়তা করে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও। বয়সজনিত শ্রবণশক্তি যাতে দুর্বল না হয়ে যায়, তার জন্য ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অত্যন্ত কার্যকর। সামুদ্রিক মাছ, আখরোট, চিয়া বীজ, তিসি বীজ, ডিম এবং মাছের তেলে এই উপাদান থাকে।
জিঙ্ক
শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি হলে বয়সজনিত বধিরতার আশঙ্কা বেড়ে যায় অনেকটাই। রাজমা, কাঁচা মুগ, ছোলা, কাবলি ছোলার মতো খাবার থেকে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক পাওয়া যায়। জিঙ্কের ঘাটতি কমাতে খেতে পারেন দুধ, ডিম, দই।
ডার্ক চকোলেট
এই চকোলেটে ভরপুর পরিমাণে জিঙ্ক রয়েছে। কানের সংক্রমণ দূর করা থেকে বধির হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমানো— সবেতেই ডার্ক চকোলেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তা ছাড়া এই চকোলেটে থাকা ম্যাগনেশিয়াম কানের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে।
দুগ্ধজাত খাবার
দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, ডি, ই, কে-র মতো উপাদান। এ ছাড়া অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, খনিজ পদর্থে সমৃদ্ধ পনির, টোফু রোজের পাতে রাখুন। বার্ধক্যে কানে কম শোনার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।