কিডনির ভালমন্দের উপর নির্ভর করে সার্বিক সুস্থতা। প্রতীকী ছবি।
কিডনির অসুখের সমস্যা ইদানীং বেড়ে গিয়েছে। কিডনিতে পাথর, জল জমে যাওয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। দৈনন্দিন জীবনের অনিয়ম কিডনির অসুখ ডেকে আনে। ক্রমাগত বাইরের খাবার খাওয়া, জল কম খেলে, তেল-মশলাজাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাসে কিডনি খারাপ হতে থাকে। দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকতে কিডনি ভাল না রাখলে চলবে না। কিডনির ভালমন্দের উপর নির্ভর করে সার্বিক সুস্থতা। কিডনি ভাল রাখতে নিজেকে যেমন কিছু নিয়মে বাঁধতে হবে, ঠিক তেমনই নিয়ম করে খেতে হবে কিছু খাবার। যেগুলি কিডনি সংক্রান্ত অসুখের ঝুঁকি কমায়।
লাল ক্যাপসিকাম
খাবারের স্বাদে আলাদা মাত্রা অনে লাল বেলপেপার। ভিটামিন এ, সি, বি৬ সমৃদ্ধ এই খাবার কিডনি সুরক্ষিত রাখে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, যা কিডনি সুস্থ রাখে।
ফুলকপি
শীতকালীন সব্জি হলেও বর্ষার বাজারেও দেখা পাওয়া যাবে ফুলকপির। তাই কিডনি ভাল রাখতে অবশ্যই পাতে রাখুন ফুলকপি। ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন সি, ফাইবার, ফোলেটের মতো উপাদান। কিডনি সুরক্ষিত রাখতে এই উপাদানগুলি অপরিহার্য।
রসুন
রান্না মুখরোচক করতেই নয়, রসুন কিডনি ভাল রাখতেও যথেষ্ট সাহায্য করে। রসুনে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা কিডনিতে সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলে রান্না করা খাবার শরীরের যত্ন নেয়। কিডনি ভাল রাখে। রসুনের মতো অলিভ অয়েলেও রয়েছে অঅ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা কিডনির প্রদাহ দূর করে।
সামুদ্রিক মাছ
কিডনির সমস্যা দূর করে সামুদ্রিক মাছ। এই ধরনের মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ খুব বেশি। এই অ্যাসিড কিডনি ভাল রাখে। কিডনির প্রদাহ দূর করতেও জুড়ি মেলা ভার। পমফ্রেট, ট্যাংরা, ভোলা হল সামুদ্রিক মাছ। মাঝেমাঝে এ ধরনের মাছ খেলে উপকার পাবেন।