ত্বকের অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে কী করবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
রোদে বেশি ক্ষণ থাকলেই ত্বকে অ্যালার্জি, র্যাশের সমস্যা হয় অনেকেরই। পুজোর সময় আবার ঝলমলে পোশাক, নানা রকম গয়নার সাজে ত্বকে র্যাশের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। চড়া রোদে বেশি ঘোরাঘুরি করলে 'সান অ্যালার্জি' হওয়ার ঝুঁকি থাকে, যা থেকে ত্বকে গুটি গুটি লালচে ফুস্কুড়ি বেরিয়ে যায়। চুলকানি, জ্বালা করতে থাকে। ত্বকে কালচে ছোপ পড়ে যায়। তাই বলে কি পুজোর সকালে ঠাকুর দেখতে বেরোবেন না? সবই করা যাবে, শুধু নিয়ম মানতে হবে।
ত্বক চিকিৎসক শ্রাবণী ঘোষ জ়োহা জানাচ্ছেন, ত্বকে র্যাশ বা অ্যালার্জির পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির কারণে ‘সানবার্ন’ হয়। ত্বক খুব স্পর্শকাতর হলে অনেকের আবার ‘সান পয়জ়নিং’ হতে দেখা যায়। এই সমস্যা আরও মারাত্মক। ত্বকের যে অংশে রোদ বেশি লাগবে, সেখানেই চামড়া পুড়ে ফোস্কা পড়ে যাবে। সান অ্যালার্জি ছাড়াও ‘ফোটোসেনসিটিভ ডিজ়অর্ডার’ হতেও দেখা যায়। সাধারণত ২০-৪০ বছর বয়সি মানুষের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে অনেক সময়ে ত্বক ফেটে রক্ত বেরোয়। সারা গায়ে চুলকানি হয়।
সকলের ত্বক সমান নয়। চড়া রোদে বেশি সময় থাকলে ত্বকের বিভিন্ন রকম সংক্রমণ হতেও দেখা যায় অনেকের। ত্বক চিকিৎসক জানাচ্ছেন, ত্বকের রং বদলাতে শুরু করে। এই বদল যে মুখ বা শরীরের বিশেষ কোনও অংশ জুড়ে সমান ভাবে হয়, তা নয়। বরং ত্বকের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ত্বকের রং গাঢ় হতে থাকে। ছিটছিট দাগের মতো দেখা যায়। একে বলে ‘হাইপার পিগমেন্টেশন’। অতিরিক্ত ঘামে রোমকূপগুলি বন্ধ হয়ে মিলারিয়া হতে পারে। এতেও ত্বকে জ্বালা, চুলকানি হয়।
সমাধান কিসে?
১) প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। কারণ এ সময় ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর লবণ বেরিয়ে যায়।
২) রোদে বেরোলে ছাতা, টুপি সঙ্গে রাখতে হবে। লম্বাহাতা সুতির পোশাক পরুন। মুখ এবং হাতে ভাল করে সানস্ক্রিন মেখে নিতে ভুলবেন না।
৩) অত্যধিক মাছ, মাংস, তেল-মশলাদার খাবার বিশেষ খাবেন না। এতে ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে।
৪) বেশি ক্ষণ রোদে থাকবেন না। চেষ্টা করবেন ছায়া আছে, এমন জায়গায় বা ঠান্ডা জায়গায় কিছু সময় থাকতে।
৫) চুলকানি কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্যালামাইন লোশন ও অ্যান্টিহিস্টামিন সিরাপ খাওয়া যেতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না।