গ্রীষ্মের মরসুমে বাজার থেকে থলিভর্তি ফল না কিনে আনলে মন ভাল হয় না! ছবি: শাটারস্টক
ফলপ্রেমীরা গরমকালের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। বাজারে গেলেই যে আম, কাঁঠাল, লিচু, সবেদা আর আনারসের হাতছানি। গ্রীষ্মের মরসুমে বাজার থেকে থলিভর্তি ফল না কিনে আনলে মন ভাল হয় না! ফলের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খুব কমই আছে। নিয়মিত ফল খাওয়ার অভ্যাস শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদরাও ওজন কমানোর ডায়েটে ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। ফল শরীরের যত্ন নেয়, এতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু সব ধরনের ফলে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে না। কয়েকটি ফল এমনও আছে, যেগুলি ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। ওজন ঝরাতে চাইলে গরমের সময় বাজারের থলেতে কোন কোন ফল রাখলে চলবে না, রইল সেই হদিস।
১) কলা: শরীরের ভিতর থেকে শক্তি জোগায় কলা। তবে দিনে একটির বেশি কলা খেলে বাড়তে পারে ওজন। কারণ কলায় ক্যালোরির পরিমাণ ১৫০। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ৩৭.৫। কলা খেতে ভালবাসলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে বেশি কলা না খাওয়াই ভাল।
২) আম: অনেকেরই প্রিয় ফল আম। আম খেলেও ওজন বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। অনেকেই এটা শুনে হতাশ হতে পারেন। এক কাপ আমে রয়েছে প্রায় ৯৯ ক্যালোরি। ফাইবারের পরিমাণও বেশি। কার্বোহাইড্রেটও রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। রোগা থাকতে তাই বেশি আম না খাওয়াই ভাল।
রোজ রোজ ডাবের শাঁস খেলে কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ছবি: শাটারস্টক
৩) আনারস: অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আনারস যত্ন নেয় শরীরের। এতে জলের পরিমাণও অনেকটা বেশি। শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে আনারস দারুণ কার্যকর। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও কম নেই আনারসে। বেশি আনারস খেলে তাই ওজন বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
৪) ডাবের শাঁস: গরমকাল মানেই ডাবের জল খেতেই হবে। অনেকেই আছেন, যাঁরা শাঁস রয়েছে এমন ডাবের খোঁজ করেন। রোজ রোজ ডাবের শাঁস খেলে কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডাবের শাঁসে ফ্যাট ও ক্যালোরি অনেকটাই বেশি মাত্রায় থাকে। তাই ওজন ঝরাতে চাইলে ডাবের জল রোজ খেলেও ডাবের শাঁস কিন্তু খাওয়া যাবে না।
৫) অ্যাভোকাডো: অনেকেই নেটমাধ্যমে দেখে ওজন ঝরানোর খাদ্যতালিকা তৈরি করেন। অ্যাভোকাডো টোস্ট অনেকেই রাখেন নিজের খাদ্যতালিকায়। এই ফলেও কিন্তু ফ্যাটের মাত্রা বেশি থাকে। তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে এই ফল।