নিয়মিত শরীরচর্চা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে এই রোগের ঝুঁকি। ছবি: সংগৃহীত
প্রতি বছর সারা বিশ্বে ফুসফুসের গুরুতর সংক্রমণ বা নিউমোনিয়ায় মারা যান অসংখ্য মানুষ। কিন্তু নিয়মিত শরীরচর্চা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে এই রোগের ঝুঁকি। প্রায় দশ লক্ষ মানুষের উপর করা একটি সমীক্ষায় উঠে এল এমনই তথ্য।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
একটি প্রখ্যাত বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেহের অতিরিক্ত ওজন, রক্তচাপের সমস্যা, স্নেহ পদার্থের ভারসাম্যের অভাব, যৌন হরমোনের অস্বাভাবিক ক্ষরণ প্রভৃতি বিষয় নিউমোনিয়াকে অনেক বেশি গুরুতর করে তোলে। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে এই সব বিষয় স্বাভাবিক থাকে, পাশাপাশি কমে প্রদাহের ঝুঁকিও। ফলে অসুখের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে থাকে অনেকটাই।
মানুষের ফুসফুস অসংখ্য ক্ষুদ্রাকৃতি থলির মতো প্রকোষ্ঠ নিয়ে গঠিত, যার বৈজ্ঞানিক নাম 'অ্যালভিওলাই'। একজন সুস্থ মানুষ যখন শ্বাস নেন, তখন এই অ্যালভিওলাই-তে বায়ু প্রবেশ করে। কিন্তু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে এগুলিতে তরল ও শ্লেষ্মা জাতীয় পদার্থ জমে যায়। ফলে অক্সিজেনের প্রবেশ কঠিন হয়ে ওঠে ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাকের আক্রমণে এই ঘটনা ঘটতে পারে।
সমীক্ষকদের দাবি, কী ধরনের শরীরচর্চা নিউমোনিয়া কমাতে পারে তা নির্দিষ্ট করে বোঝা না গেলেও, প্রাত্যহিক অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করলে যে এর প্রাবল্য কমে তা এক প্রকার নিশ্চিত।
তবে কোভিড সংক্রান্ত নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে শরীরচর্চার ভূমিকা নিয়ে নিশ্চিত নন গবেষকরা। পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে কোভিড রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে পড়ছে। আপাত ভাবে সুস্থ শরীরের অধিকারী ব্যক্তিরাও তার ব্যতিক্রম নন। এ কথা ঠিক যে, নিয়মিত শরীর চর্চায় ফুসফুস ভাল থাকে, বাড়ে অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা, কিন্তু তাতে কোভিড সংক্রান্ত নিউমোনিয়া আটকায় কতটা, তা জানতে প্রয়োজন আরও গবেষণার।