মস্তিষ্কের ভাস্কুলার আঘাত নিয়ে গবেষণার সময় শরীরের চর্বি এবং লো কগনিটিভ স্কোরের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। ছবি: সংগৃহীত
শরীরে যত মেদ জমবে ততই কমে যাবে আপনার চিন্তাভাবনা করার শক্তি। শুধু তাই নয়, কমবে স্মৃতিশক্তিও! সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরে চর্বি বাড়লে প্রাপ্তবয়স্কদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। মস্তিষ্কের ভাস্কুলার আঘাত নিয়ে গবেষণার সময় শরীরের চর্বি এবং লো কগনিটিভ স্কোরের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা।
গবেষণাটি জামা নেটওয়ার্ক ওপেন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় বায়োইলেক্ট্রিক্যাল প্রতিবন্ধকতা বিশ্লেষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী ৯,১৬৬ জনের শরীরের মোট চর্বির মাত্রা নির্ণয় করা হয়েছিল। পাশাপাশি, ভিসেরাল ফ্যাট পরিমাপ করার জন্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬,৭৩৩ জনের ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (এমআরআই) করা হয়। এমআরআই-এর মাধ্যমে ভাস্কুলার ব্রেন ইনজুরি অর্থাত্ মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলিও পরিমাপ করা হয়।
প্রতীকী ছবি
ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির মাইকেল জি ডিগ্রুট স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক এবং হ্যামিল্টন হেলথ সায়েন্সেসের ভাস্কুলার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সোনিয়া আনন্দ বলেন, ‘‘আমাদের গবেষণার ফলাফল বলছে, শরীরের অতিরিক্ত মেদ প্রতিরোধের কৌশলগুলি মস্তিষ্কের কার্যকারিতার হার বাড়াতে পারে। শরীরের চর্বি বৃদ্ধির যেমন ডায়াবিটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকির কারণ হয়, তেমনই মস্তিষ্কের ভাস্কুলার আঘাতের উপরও এটি প্রভাব ফেলে।’’
নিউরোলজিস্ট, বিজ্ঞানী এবং ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিকাল নিউরোসায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক এরিক স্মিথ বলেন, ‘‘মস্তিষ্কের কার্যকারিতা রক্ষা করা বৃদ্ধ বয়সে ডিমেনশিয়া প্রতিরোধের অন্যতম সেরা উপায়। পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি শরীরে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন যার ফলস্বরূপ স্মৃতিভ্রংশের আশঙ্কাও কমবে।’’
যে অংশগ্রহণকারীদের উপর সমীক্ষা চালানো হয় তাঁদের বয়স ৩০ থেকে ৭৫ এর মধ্যেই, অর্থাৎ গড় বয়স প্রায় ৫৮। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫৬ শতাংশের বেশি মহিলা ছিলেন, যাঁরা সকলেই কানাডা বা পোল্যান্ডের বাসিন্দা। হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়ে এই গবেষণাটি করা হয়নি।