‘রব নে বনাদি জোড়ি’ ছবির দৃশ্যে অনুষ্কা শর্মা এবং শাহরুখ খান। ছবি- সংগৃহীত
সপ্তাহে ২ দিন ঝাল-ঝাল ফুচকা না খেলে মন ভাল হয় না। শহর ছেড়ে অন্যত্র ঘুরতে গেলেও এই নিয়মের অন্যথা হয় না। শুধু বাঙালি নয়, প্রায় সব ভারতীয়ই ফুচকার প্রতি দুর্বল। তা সে ফুচকাকে যেখানে যে নামেই ডাকা হোক না কেন, গন্ধরাজ লেবুর রস এবং তেঁতুল গোলা টকজলের উপর ভাসতে থাকা নানা রকম মশলার গন্ধ এড়িয়ে অন্য দিকে যাওয়াই দায়। তার পর ফুচকা খাওয়ার শেষে প্রতি বার ফাউয়ের বায়নাও ছাড়া যায় না।
তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, অতিরিক্ত ঝাল দেওয়া ফুচকা খাওয়ার এই অভ্যাসে শরীরে যথেষ্ট ক্ষতি হয়। ফাউ ফুচকায় (শুখা) জল খাওয়ার রেওয়াজ নেই। ফলে এর পুর-এ দেওয়া শুকনো লঙ্কা সরাসরি শরীরে ঢোকে। তবে শুধু ফাউ ফুচকাতেই বা কেন, নিয়মিত অতিরিক্ত ঝাল দেওয়া ফুচকা খেলে ক্ষতি তো হবেই। পুষ্টিবিদদের মতে, খুব সামান্য ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার খেলে তা বরং হজমে সাহায্যই করে। কিন্তু অতিরিক্ত ঝাল খেলে পাকস্থলী এবং অন্ত্রের প্রভূত ক্ষতি হয়। পাশাপাশি যাঁদের মুখে ব্রণ হয়, তাঁদের সেই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
অতিরিক্ত ঝাল দেওয়া ফুচকা খেলে ব্রণের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। ছবি- সংগৃহীত
অতিরিক্ত ঝাল দেওয়া ফুচকা খেলে শরীরের ক্ষতি হয়?
১) যাঁদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে তাঁদের এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে এমন ঝাল ফুচকা খেতে থাকলে পাকস্থলীতে ঘা হওয়া সম্ভাবনাও বেড়ে যেতে পারে।
২) অতিরিক্ত ঝাল খেলে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে। যা থেকে মুখে ব্রণ, অ্যাকনে এমনকি ফোড়া পর্যন্ত হতে পারে।
৩) অন্ত্রের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার জন্য দায়ী অতিরিক্ত ঝাল। দীর্ঘ দিন ধরে এমন ঝাল দেওয়া খাবার খেলে অন্ত্রের ঝিল্লিগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে খাবার থেকে পুষ্টিগুণ শোষণ করা সম্ভব হয় না।