মূত্রাশয়ের সমস্যার জন্য দায়ী কে? ছবি- সংগৃহীত
পাশাপাশি থাকা দুটি সাধারণ শৌচালয়ের গঠনশৈলি দেখলেই বলে দেওয়া যায় কোনটি পুরুষদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। কারণ, পুরুষরা সাধারণত দাঁড়িয়ে মূত্রত্যাগ করতেই অভ্যস্ত। মহিলাদের মতো কমোডে বসার অভ্যাস তাঁদের নেই। কিন্তু এই অভ্যাসই নাকি পুরুষদের মূত্রাশয়ঘটিত সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে। অন্তত হালের গবেষণা তেমনটাই বলছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, মধ্যবয়স পেরোনোর পর পুরুষদের শরীরেও হরমোনের কিছু পরিবর্তন ঘটে। যার ফলে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যার ফলে প্রস্টেট গ্ল্যান্ড এবং অণ্ডকোষের আকার এবং গঠনেও পরিবর্তন আছে। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে ‘বিনাইন প্রস্টেটিক হাইপারপ্ল্যাসিয়া’ বলা হয়। ১৩টি দেশে ৭ হাজারেরও বেশি পুরুষের উপর সমীক্ষা করে গবেষকরা দেখেছেন, দাঁড়িয়ে মূত্রত্যাগ করার এই অভ্যাসই নাকি বেশি বয়সে পুরুষদের মূত্রাশয়ের রোগ বাড়িয়ে তোলে।
তবে শুধু গবেষণাই নয়, চিকিৎসকেরাও এই বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলছেন, দাঁড়িয়ে প্রস্রাব ত্যাগ করা ফলে মূত্রথলির উপর চাপ পড়ে। দীর্ঘ দিন ধরে এমন অভ্যাস চলতে থাকলে প্রস্টেট গ্ল্যান্ড এবং মূত্রাশয় সংক্রান্ত সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই মেয়েদের মতো বসে মূত্রত্যাগ করা তুলনামূলক ভাবে স্বাস্থ্যসম্মত বলেই মনে করছেন তাঁরা। গবেষকদের প্রধান চিকিৎসক জেরাল্ড কলিন্স বলেন, “দাঁড়িয়ে মূত্রত্যাগ করার ফলে তৎক্ষণাৎ কোনও সমস্যা হয়তো হবে না। কিন্তু বয়সকালে প্রস্টেট গ্ল্যান্ড বড় হয়ে যাওয়ার বড় কারণ এই অভ্যাস।”