সয়াবিন কি কোলেস্টেরলের শত্রু? ছবি: সংগৃহীত।
স্বাদের যত্ন নেবে আবার শরীরেরও খেয়াল রাখবে, এমন খাবারের তালিকা খুব বেশি দীর্ঘ নয়। তবে দু’টি গুণই রয়েছে, এমন খাবারের অন্যতম বিকল্প হল সয়াবিন। ভরপুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সয়াবিন সকলের জন্যেই সমান উপকারী। আট থেকে আশি— সুস্থ থাকতে সয়াবিনের উপর ভরসা রাখা যায় চোখ বন্ধ করে। পুষ্টিবিদদের মতে, সপ্তাহে অন্তত ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম সয়াবিন খেলে অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। সুস্থ থাকতে কেন খাবেন সয়াবিন?
১) সয়াবিনে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম। এই উপাদান হাড়ের যত্ন নেয়। বয়সের চাকা সামনের দিকে যত গড়াতে থাকে, হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বাড়তে থাকে। তা ছাড়া ইদানীং অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে অল্প বয়সেই হাড়ের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। হা়ড় শক্তিশালী এবং মজবুত রাখতে ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। রজোনিবৃত্তির পর শরীরে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ কমতে থাকে মহিলাদের। ফলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।
২) রোজকার ডায়েটে ফাইটোইস্ট্রোজেন সমৃদ্ধ সয়াপ্রোটিন থাকলে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি কমে যায়। রজোনিবৃত্তির পর মহিলাদের নিয়ম করে ৩০ গ্রাম সয়াবিন খেতে পারলে হাড় হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি অনেকটাই কমবে। অস্টিয়োপোরেসিসের মতো হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যাকে প্রতিহত করতেও সয়াবিন কার্যকর।
সয়াবিনে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম। ছবি: সংগৃহীত।
৩) সয়াবিনে আছে আইসোফ্ল্যাভেন ও লেসিথিন। দু’টিই জোরালো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এগুলি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এলডিএল অর্থাৎ, ক্ষতিকর কোলেস্টেরল শরীর থেকে দূর করতে সয়াবিনের জুড়ি মেলা ভার।
৪) সয়াবিনের আইসোফ্ল্যাভেন অত্যন্ত জোরালো ফাইটো ইস্ট্রোজেন। ত্বক ও চুল উজ্জ্বল এবং ঝকঝকে রাখতে এই যৌগ সাহায্য করে। সপ্তাহে দিন তিনেক ৫০ মিলিগ্রাম করে সয়াবিন খেলে এইচডিএল এবং এলডিএলের ভারসাম্য রক্ষা পায়। ফলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমে।