স্মার্ট রিং।
আঙুলে থাকা আংটি দিয়েই যদি ফোন ধরা যায়, মোবাইলের নোটিফিকেশন দেখা যায়, গান শোনা যায়, তবে কেমন হয়? স্মার্টফোন, স্মার্ট ওয়াচ তো আছেই, এখন ট্রেন্ডিং স্মার্ট রিং। কিম কার্দাশিয়ান, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, জেনিফার অ্যানিস্টন, প্রিন্স হ্যারি থেকে আলিয়া ভট্ট... এখন অনেকেই ব্যবহার করছেন এই আংটি।
স্মার্ট রিং কী?
সাধারণ আংটির মতোই দেখতে এই স্মার্ট রিং-এ রয়েছে আধুনিক কিছু সুযোগসুবিধে। স্মার্ট ওয়াচের মতো এ-ও এক ধরনের ফিটনেস ব্যান্ড। শরীর, স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার পাশাপাশি এতে দৈনন্দিন আরও কিছুু কাজ করা সম্ভব। এই আংটি দিয়ে সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন মোবাইল ক্যামেরা কিংবা অন্য কোনও স্মার্ট গ্যাজেটও। অনলাইনে সহজলভ্য একাধিক কোম্পানির স্মার্ট রিং। ফিচারস অনুযায়ী এর দাম। তবে বাড়তি কিছু সুবিধে পেতে ব্লুটুথের মাধ্যমে স্মার্ট রিংকে স্মার্টফোনের সঙ্গে কানেক্ট করা জরুরি।
একটানা এই আংটি পরে থাকলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হতে পারে। ঘাম, জল ইত্যাদি জমে ত্বকের সমস্যা হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। দীর্ঘ সময় পরে থাকলে এর ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক হাইপারসেন্সিটিভিটিতেও সমস্যা হয় অনেকের। ফিটনেস প্রশিক্ষক অরিজিৎ ঘোষাল বলছেন, “এই আংটি যে সব সময়ে ঠিকঠাক পরিসংখ্যান দেখায়, এমনও নয়। ফলে শারীরচর্চার সময়ে এর উপরে ভরসা করা কিন্তু বিপজ্জনক হতে পারে। তা ছাড়া, ক্রমাগত এটির দিকে নজর দিতে গিয়ে অনেকেই মানসিক সমস্যায় ভোগেন।” ঘুমের সময়ে স্মার্টফোনটিকেও হাতের কাছে না রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। সে ক্ষেত্রে এই আংটি পরে ঘুমানোও কিন্তু ঠিক নয়।
তবে কিছু সাধারণ নিয়মকানুন মেনে চললে দীর্ঘ সময় এই আংটি ব্যবহারে সাধারণত তেমন বড় কোনও সমস্যা হয় না।