পেটের মেদ কমানো খুব কঠিন নয়। ছবি: সংগৃহীত।
রোগা হওয়ার অন্যতম একটি লক্ষ্য হল ভিতর থেকে সুস্থ থাকা। ছিপছিপে হলে যে শুধু দেখতে ভাল লাগে, তা নয়। ফিট থাকতেও রোগা হওয়া জরুরি। কারণ, শারীরিক নানা সমস্যা স্থূলতার হাত ধরেই আসে। তাই মেদের এই বাড়বাড়ন্ত রুখে দিতে পারলে অনেক অসুখের সঙ্গে লড়াই করা সহজ হয়। তবে সমস্যা হল যে, শরীরের অন্যান্য অংশের মেদ তাড়াতাড়ি ঝরলেও পেটের মেদ সহজে ঝরতে চায় না। তার জন্য অনেকেই বিভিন্ন উপায় মেনে চলেন। ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা রাখেন। সেই সঙ্গে জিম, ডায়েট তো আছেই। তবে এত কিছু করেও যদি মেদহীন পেটের স্বপ্নপূরণ না হয়, তা হলে মেনে চলুন কিছু নিয়ম।
১) যে সব খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বেশি, তা বেশি করে খান। পেটের মেদ কমিয়ে ফেলা যায় চাইলেই। কঠিন কোনও বিষয় নয়। ফাইবারে সমৃদ্ধ ফল, সব্জি বেশি করে খেলে পেট অনেকটা ভরা থাকে। খিদেও কম পায়। এতে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণও পায়। সেই সঙ্গে মেদও কমে।
২) পেটের নানা রকম শরীরচর্চা করা জরুরি। তবে বাড়তি সময় দিতে না চাইলে ঘরের কাজ করতে করতেও পেটের ব্যায়াম করা যায়। কিন্তু দক্ষ এবং পেশাদার কারও পরামর্শ নিয়েই ব্যায়াম করতে পারলে ভাল। এ ছাড়া, একটানা জোরে হাঁটুন বা সাইকেল চালাতে পারেন। কিংবা সাঁতার কাটা, নাচ করাও ভাল বিকল্প।
মেদ কমাতে গেলে প্রথমেই বাইরের খাবার খাওয়া কমাতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) মেদ কমাতে গেলে প্রথমেই বাইরের খাবার খাওয়া কমাতে হবে। নরম পানীয় তো বটেই, এমনকি, বাড়িতে বানানো স্কোয়াশ, চিনি দেওয়া শরবত, চিনি দেওয়া ফলের রসও এড়িয়ে চলুন। যত বেশি চিনি শরীরে যাবে, ততই তা লিভারে জমা হবে ও ফ্যাটে পরিবর্তিত হবে। আর এই ধরনের নরম পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে অতিরিক্ত চিনি থাকে। পেটের মেদ কমাতে চিনি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিতে হবে।