কী রকম চা খেলে মাথাব্যথা কমবে? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে চড়চড়ে রোদ। আবার রাতে কনকনে ঠান্ডা। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালি স্বভাবের জন্য সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ছে মাথা। সারা দিন ধরে মাথার এই তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। এই ধরনের মাথার যন্ত্রণাকে মাইগ্রেন ভেবে বসেন অনেকেই। তবে আসল সমস্যা কিন্তু অন্য জায়গায়। চিকিৎসকেরা বলছেন, হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনে কিংবা মাথায় সরাসরি রোদ লাগলে মাথা যন্ত্রণা হতে পারে। তবে শীতকালে মাথাব্যথার সাধারণ একটি কারণ হল পর্যাপ্ত জল না খাওয়া। ঠান্ডায় জল খাওয়ার প্রবণতা কমে। পর্যাপ্ত জলের অভাবে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। তখনও মাথার যন্ত্রণা হতে পারে। এই সমস্যা থেকে চটজলদি সমাধান পেতে ওষুধ কিংবা বাম নয়, ভরসা রাখুন পাঁচ রকম চায়ে।
১) ভেষজ চা
ঠান্ডা লেগে বা মাইগ্রেন থেকে মাথা যন্ত্রণা শুরু হলে তৎক্ষণাৎ এক কাপ ভেষজ চা খেয়ে দেখতে পারেন। তুলসী, পুদিনা, অশ্বগন্ধার মতো ভেষজ স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমন করে। প্রদাহ কমায়। পেশিকে শিথিল করতে সাহায্য করে এই পানীয়।
২) গ্রিন টি
গ্রিন টি-র মধ্যে যে পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, তা সামগ্রিক ভাবে শরীরের জন্য ভাল। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, গ্রিন টি এবং কফি— দুইয়ের মধ্যেই ক্যাফিন রয়েছে। কিন্তু কফির মধ্যে যে ধরনের ক্যাফিন থাকে, তা রক্তবাহিকার পথ সংকীর্ণ করে দেয়। কফি খেলে তৎক্ষণাৎ আরাম হলেও বেশি খেলে কিন্তু পেটের সমস্যা হতে পারে।
৩) আদা চা
আদার মধ্যে রয়েছে ‘জিঞ্জেরল’ নামক একটি উপাদান। যা প্রদাহনাশক হিসেবেই পরিচিত। শুধু মাইগ্রেন নয়, ঠান্ডায় জল খাওয়া কম হলে কিংবা পেটে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা হলেও মাথা ব্যথা করে। আদা দেওয়া চা খেলে এই সমস্ত সমস্যাই বশে থাকে।
মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে ক্যামোমাইল ফুলের নির্যাসের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) ক্যামোমাইল টি
মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে ক্যামোমাইল ফুলের নির্যাসের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এই ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি এক কাপ চা খেলে মাথা যন্ত্রণার সমস্যায় আরাম পেতে পারেন।
৫) রোজ়মেরি
চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অনেকেই রোজ়মেরির মতো ভেষজ ব্যবহার করেন। এই ভেষজটি মাইগ্রেনের সমস্যাতেও দারুণ কাজ করে। এই ভেষজ দিয়ে তৈরি পানীয় খেলে মাথা যন্ত্রণার উপশম হয়। খুব কষ্ট হলে কপালের দু’পাশে কয়েক ফোঁটা রোজ়মেরি অয়েল মালিশ করলেও আরাম মেলে।