প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি টান কমাবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
অফিসের কাজের চাপে বেশির ভাগ দিনই বাড়ি ফিরতে দেরি। ক্লান্তিতে রান্না করার ইচ্ছা বা সময়, কোনওটাই নেই। চিন্তা নেই, মুশকিল আসান, করতে ফ্রিজে রয়েছে ‘রেডি টু ইট’ পাস্তা থেকে পিৎজ়া, সব্জি থেকে পরোটা, সবই। কেবল গরম করে নিলেই কেল্লাফতে। রোজের জীবনে সময় বাঁচাতে প্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে ঝোঁক বাড়ছে।
যাঁরা ‘রেডি টু ইট’ খাবার খান না, তাঁদের হেঁশেলেও মিলবে নানা ধরনের সসের বোতল, চিপ্সের প্যাকেট! ফ্রিজ়ারে থাকে সসেজ, সালামি আর বেকন। সচেতন হলেও প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে একেবারে মুখ ফিরিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। তবে রোজের ডায়েটে এই খাবার রাখা স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল না। এ সব খাবারে অতিরিক্ত নুন ও চিনি দেওয়া থাকে, দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য মেশানো থাকে নানা ধরনের রাসায়নিক, যা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়। ওবেসিটি, কিছু কিছু ক্যানসার, ডায়াবিটিস— সবই উস্কে দিতে পারে এই প্রসেসড ফুড।
সচেতন হলেও প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে একেবারে মুখ ফিরিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। তবে রোজের ডায়েটে এই খাবার রাখা স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল না। কী ভাবে রোজের জীবনে এড়িয়ে চলবেন প্রক্রিয়াজাত খাবার?
১) ফ্রিজ প্রক্রিয়াজাত খাবারে ভরে রাখবেন না। বদলে বাজার থেকে টাটকা ফল ও শাকসব্জি নিয়ে এনে ফ্রিজে রাখুন। টাটকা খাবার সামনে দেখলে আর প্রক্রিয়াজাত খাবার খেতে ইচ্ছে করবে না। খিদে পেলে সামনে প্রক্রিয়াজাত খাবার না থাকলে টাটকা খাবারই বানিয়ে খেতে হবে।
২) কেনাকাটা করার সময়ে বাড়তি সতর্কতা বজায় থাকতে হবে। উচ্চ মাত্রায় ট্রান্সফ্যাট, নুন ও চিনি যুক্ত যে কোনও খাবার এড়িয়ে চলুন। খাবারের সামগ্রীর প্যাকেট কিংবা কৌটোর গায়ে তার মধ্যে কী কী উপকরণ রয়েছে, তা দেখেই কেনার অভ্যাস করুন।
৩) সময় বাঁচাতে চটজলদি তৈরি করে ফেলা যায়, এমন পদ বানিয়ে ফেলুন। অফিসে যাওয়ার আগে সব্জি কেটে, মশলা তৈরি করে রেখে দিন। বাড়ি ফিরে রান্না করতে তা হলে খুব বেশি সময় লাগবে না। বাড়িতে তৈরি খাবার সুস্বাদু আর স্বাস্থ্যকর হবে।
৪) জলখাবার, দুপুরের খাবার কিংবা নৈশভোজে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেও সমস্যা হয় বিকেলে হালকা খিদে পেলে। তখনই চিপ্স, বার্গার, পিৎজ়া খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ে। তাই অফিস হোক বা বাড়ি, হাতের কাছে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস যেমন ড্রাইফ্রুট, মাখানা ইত্যাদি রাখুন।
৫) প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলির স্বাস্থ্যকর অথচ বিকল্প রেসিপি খুঁজে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন। বাড়ির তৈরি খাবারে ট্রান্সফ্যাট থাকবে না। আপনি চাইলে বাড়িতে স্বাস্থ্যকর উপায়ে সেই পদগুলি বানিয়ে ফেলতে পারেন।