পছন্দের খাবার দেখেও নিজেকে আটকাবেন কী করে? ছবি: শাটারস্টক।
সামনেই উৎসবের মরসুম। ওজন ঝরিয়ে ফিট থাকার জন্য ইতিমধ্যেই জিমের মেম্বারশিপ নিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। সকাল সকাল জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতেও শুরু করেছেন কেউ কেউ। শরীরচর্চায় ফাঁকি না দিলেও সমস্যাটা অন্য জায়গায়। পছন্দের খাবার সামনে এলেই নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেন না। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে জিমে গিয়ে কসরত করার সমস্ত চেষ্টাই বৃথা হয়। মনের মতো খাবার চোখের সামনে দেখেই পুরোটা খেয়ে নিলেন। আসলে প্রিয় খাবার পাতে পড়লে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলে স্বাভাবিক। অনেক সময়, কষ্ট হলেও লোকে আরও বেশি করে খেয়ে ফেলেন। এতে হজমের গোলমাল শুরু হয়। শুধু তা-ই নয়, এর ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিয়েবাড়ি হোক কিংবা অফিসের পার্টি, রেস্তরাঁয় বুফে খাওয়া হোক বা বাড়িতে উৎসবের ভূরিভোজ— অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কী ভাবে কমাবেন রইল হদিস।
১) কোনও রেস্তরাঁয় যাওয়ার আগে কিংবা কোনও নিমন্ত্রণ বাড়িতে যাওয়ার আগে কখনওই খালি পেটে থাকবেন না। সময় মতো প্রাতরাশ ও দুপুরের খাবার অবশ্যই খেতে হবে। খালি পেটে থাকলেই পছন্দের খাবার বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা বাড়ে। তাই খেতে যাওয়ার আগে পেট একেবারে খালি রাখা চলবে না।
বেশি খেয়ে ফেললেই শুরু হয় হজমের গোলমাল। ছবি: শাটারস্টক।
২) বুফেতে গেলেই আমদের সব কিছু চেখে দেখার প্রবণতা থাকে। এই করতে গিয়েই আমরা অনেক বেশি খেয়ে ফেলি। তবে চেষ্টা করুন স্টাটার্স বেশি করে খাওয়ার। কবাবজাতীয় খাবার খেয়ে পেট ভরান। মেন কোর্সে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে শেষে অল্প মিষ্টিমুখ করতে পারেন।
৩) একসঙ্গে বেশি খাবার খেয়ে নেওয়ার প্রবণতা থাকলে যে খাবারগুলিতে ক্যালোরির পরিমাণ কম, সেগুলি খেতে পারেন। তা হলে অন্তত ওজন বে়ড়ে যাওয়া কিছুটা হলেও আটকানো যাবে। বেশি ফ্যাট আর ক্যালোরিযুক্ত খাবার একসঙ্গে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সত্যিই সম্ভব নয়। নরম পানীয় ও সোডাযুক্ত পানীয়ও এড়িয়ে চলুন।
৪) তাড়াহুড়ো করে খেলে বেশি খাবার খেয়ে নেওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই হাতে সময় নিয়ে খেতে বসুন। প্রতিটি গ্রাস অল্প অল্প করে মুখে তুলুন। উপভোগ করে খাবার খেলে দেখবেন, পেট এবং মন দুই-ই ভরছে। আবার শরীরও সুস্থ থাকছে।