ফুসফুস ভাল রাখার সহজ উপায়। ছবি: সংগৃহীত
অল্প হাঁটাহাঁটি কিংবা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলেই যদি দম ফুরিয়ে আসার উপক্রম হয়? থাকতে পারে ফুসফুসের সমস্যা। ধূমপান তো বটেই, প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা বায়ুদূষণের সমস্যাও বিপজ্জনক হতে পারে ফুসফুসের জন্য। কাজেই সময় থাকতে ফুসফুসের যত্ন নেওয়া জরুরি।
১। ফুসফুস ভাল রাখতে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার কোনও বিকল্প নেই। এমনকি, কাছাকাছি কেউ ধূমপান করলেও চেষ্টা করতে হবে দূরে থাকার। ধূমপান করছেন এমন কারও সামনে থাকলে ‘প্যাসিভ’ বা পরোক্ষ ভাবে যে ধোঁয়া শরীরে ঢোকে তা সরাসরি ধূমপান করার থেকেও বেশি ক্ষতিকর।
২। লাল রঙের ফল এবং সব্জি কাজে আসতে পারে ফুসফুস ভাল রাখতে। বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের সমস্যায় জর্জরিত তাঁদের জন্য এই ধরনের সব্জি বেশ উপকারী। লাল ক্যাপসিকাম, টম্যাটোর মতো সব্জিতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা কোষের জারণঘটিত চাপ কমাতে কাজে আসতে পারে। প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে কাজে আসতে পারে টম্যাটোর রস।
প্রতীকী ছবি।
৩। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি কিংবা ব্ল্যাকবেরিতে রয়েছে ‘অ্যান্থোসায়ানিন’ নামক উপাদান। এই অ্যান্থোসায়ানিন ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সহায়তা করে। পাশাপাশি, বার্ধক্যজনিত সমস্যা রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের ফুসফুসের হাল ফেরাতে কাজে আসতে পারে বেরির মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট।
৪। ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে নিয়মিত করতে হবে বিভিন্ন ধরনের শ্বাসের ব্যায়াম ও যোগাভ্যাস। নিয়মিত শরীরচর্চায় বাড়ে ফুসফুসের অক্সিজেন গ্রহণ করার ক্ষমতা। ধনুরাসন, ভুজঙ্গাসন, মৎসাসন, পদ্মসর্বাঙ্গাসন, অর্ধ মৎসেন্দ্রাসন ও পদহস্তাসনের মতো আসন নিয়মিত করলে ভাল থাকে ফুসফুস।