vitamin D Intake

শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ বেশি হয়ে যায়নি তো? কোন ৩ লক্ষণ দেখে বুঝবেন?

শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি হলেও যেমন সমস্যার, তেমনই এই ভিটামিনের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হয়ে গেলেও নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩ ১২:৫৯
Share:

শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা দিলে নানা লক্ষণ প্রকাশ পায়। প্রতীকী ছবি।

যে কোনও সমস্য নিয়ে আজকাল চিকিৎসকের কাছে গেলেই তাঁরা নানা রকম রক্ত পরীক্ষা করান। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, তার মধ্যে একটি থাকে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা দেখে নেওয়ার পরীক্ষা। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে। একটি বয়সের পর নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এখন চিকিৎসকরা ভিটামিন ডি-এর সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরামর্শও দিয়ে থাকেন। কারণ, বেশির ভাগ পরীক্ষাতেই ধরা পড়ে শরীর ভিটমিন ডি-এর মাত্রা প্রয়োজনের চেয়ে অনেকটাই কম।

Advertisement

হাড় মজবুত করতে তো বটেই, শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন ডি মূলক শরীরের স্নেহপদার্থ দ্রবীভূত করার একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। যা সূর্যালোকের প্রভাবে শরীরের কোষে তৈরি হয়। তবে ভিটামিন ডি অন্যান্য ভিটামিনের চেয়ে কিছুটা আলাদা। সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে ত্বক থেকে এক ধরনের স্টেরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয়। যা শরীরের সার্বিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক বার .যদি রোদে দাঁড়ানো যায়, শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি তৈরি হতে পারে না। সূর্যের আলো ছাড়াও দুগ্ধজাত খাবার বা ডিমের মতো কিছু খাবার থেকেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে শরীরে ভিটামিন ডি-র অত্যধিক ঘাটতি দেখা দিলে তখন অনেকেই ভরসা রাখেন ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টের উপর। সুস্থ থাকতে ভিটামিন ডি অবশ্যই জরুরি। তবে শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরে কোনও উপাদানের ঘাটতি তৈরি হলে যেমন কিছু লক্ষণ শরীরে ফুটে ওঠে। তেমনই কোনও উপাদান যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত হয়ে যায়, তা হলেও কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। আর তখন সাবধান হওয়া জরুরি। প্রয়োজনের তুলনায় ভিটামিন ডি শরীরে বেশি হয়ে গিয়েছে কি না, কী ভাবে তা বুঝবেন?

১) ভিটামিন ডি শরীরে পর্যাপ্ত থাকলে ক্যালশিয়ামের পরিমাণও বৃদ্ধি পায় শরীরে। ক্যালশিয়াম হাড় সুস্থ রাখে। তবে শরীরে ভিটামিন ডি-র অতিরিক্ত ব্যবহার রক্তে ক্যালশিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে হাইপারক্যালশেমিয়া। ৮.৫-১০.৮ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম শরীরে থাকলেই যথেষ্ট। স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেই নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। বমি, পেটে ব্যথা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, সব সময় দুর্বল লাগা।

Advertisement

২) ভিটামিন ডি-র পরিমাণ শরীরে বেড়ে গেলে খিদে কমে যায়। খাবারের প্রতি অনীহার একটি কারণ হতে পারে এটি। খুব বেশি সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার অভ্যাসেই এমন হয় সাধারণত। তাই শরীরে ভিটামিন ডি-র চাহিদা কতটা, তা জেনে নিয়ে খাওয়াই ভাল।

৩) ভিটামিন ডি হাড়ের যত্ন নেয়। আবার, ভিটামিন ডি-এর মাত্রা যদি শরীরে বেশি হয়ে যায়, তা হলে উল্টোটাও হতে পারে। হাইপারক্যালশেমিয়ার কারণে হাড় ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। হাড়ে যন্ত্রণা, পেশির নানা সমস্যা মাঝেমাঝেই দেখা দিতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement