Diabetes

ঠোঁট অতিরিক্ত শুকিয়ে যাচ্ছে! শরীরে ডায়াবিটিস বাসা বাঁধেনি তো? আর কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন?

ডায়াবিটিস হয়েছে কি না, তা সব সময় প্রাথমিক অবস্থায় বোঝা যায় না। সকালের কয়েকটি লক্ষণই বলে দেবে আপনি ডায়াবিটিস আক্রান্ত কি না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:৪৬
Share:

ডায়াবিটিস হয়েছে কি না, তা সব সময় প্রাথমিক অবস্থায় বোঝা যায় না। প্রতীকী ছবি।

বয়স বাড়লে যে ক্রনিক সমস্যাগুলি শরীরে বাসা বাঁধে, তার মধ্যে অন্যতম ডায়াবিটিস। তবে এখন আর শুধু বার্ধক্যে নয়, কম বয়সেও হানা দিচ্ছে এই রোগ। অল্পবয়সিদের মধ্যেও ডায়াবিটিসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অতিরিক্ত ওজন, শরীরের যত্ন না নেওয়া— এমন কিছু কারণে ডায়াবিটিসের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। ডায়াবিটিসের হাত ধরেই হৃদ্‌রোগ, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

Advertisement

ডায়াবিটিস হয়েছে কি না, তা সব সময় প্রাথমিক অবস্থায় বোঝা যায় না। ডায়াবিটিস যত তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা যাবে, ততই ভাল। দেরি হলে এর মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে। তখন আরও মুশকিল। ডায়াবিটিস হয়েছে কি না তা সব সময় বাইরে থেকে বোঝা যায় না। তবে সকালের কয়েকটি লক্ষণ দেখলে সেগুলি ডায়াবিটিসের কি না, তা চিহ্নিত করা যেতে পারে।

ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া

Advertisement

শীতকালে আর্দ্রতার অভাবে এমনিতেই ঠোঁট ফেটে শুকিয়ে যায়। ডায়াবিটিসের অন্যতম লক্ষণ এটি। শীতে সারা দিনই ঠোঁট শুষ্ক হয়ে থাকে। ক্রিমজাতীয় কিছু ব্যবহার করার কিছু ক্ষণ পর আবার সেই একই অবস্থা ফিরে আসে। তবে ডায়াবিটিসের কারণে মূলত সকালের দিকে বেশ ভাল রকম শুকিয়ে যায় ঠোঁট। সেই সঙ্গে প্রবল তেষ্টা পায়। এমন যদি প্রায়ই হতে থাকে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা অবশ্যই জরুরি।

সকালের দিকে বমি বমি ভাব ডায়াবিটিস হওয়ার আরও একটি লক্ষণ। প্রতীকী ছবি।

বমি বমি ভাব

সকালের দিকে বমি বমি ভাব ডায়াবিটিস হওয়ার আরও একটি লক্ষণ। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হওয়ার কারণে এমনটা হয় মূলত। ঘুম থেকে উঠে বমি পাওয়াটা স্বাস্থ্যকর বিষয় নয়। তাই প্রায় প্রতি দিন যদি এমন হতে থাকে, তা হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের কাছে যান। হতে পারে, আপনি ডায়াবিটিসের শিকার হয়েছেন।

ঝাপসা দৃষ্টি

ডায়াবিটিস হলে এমনিতেই দৃষ্টিশক্তি একটু ঝাপসা হয়ে যায়। মাঝেমাঝেই দৃষ্টি কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে গেলে, তা গুরুত্ব নিয়ে দেখুন। সব সময় চোখের কোনও সমস্যা থেকেই এমন হচ্ছে, তা কিন্তু না-ও হতে পারে। কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে সরাসরি চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement