মুখের ক্যানসার মোকাবিলায় প্রতিরোধই সেরা কৌশল। ছবি: শাটারস্টক।
ভারতে মুখের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। অথচ চেষ্টা করলেই এটি রোখা সম্ভব। গুটখা, খৈনি, পানমশলা, সিগারেট খাওয়ার অভ্যাসই ডেকে আনে মারণ এই রোগের ঝুঁকি। জেনেবুঝেও এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না অনেকেই।
চিকিৎসকদের মতে, প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে মুখের ক্যানসার সম্পূর্ণ ভাবে সারিয়ে তোলা যায়। নারীদের তুলনায় পুরুষরাই এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন বেশি। ঠোঁট, জিভ, গালের ভেতরের অংশ, মাড়ি, মুখের শক্ত ও নরম তালু, গলার নীচের অংশ— মুখের এই সব অংশই ক্যানসারে আক্রান্ত হয় বেশি। তামাকজাত পদার্থ ছাড়াও মদ্যপানও মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)-এর সংক্রমণ, পরিবারের কারও মুখের ক্যানসারের ইতিহাস, দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতা, অপুষ্টি ইত্যাদি কারণেও এই রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। মুখের ক্যানসারের সাধারণ কিছু উপসর্গ রয়েছে, যা অবহেলা করলে ক্ষতি হতে পারে মারাত্মক। কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
১) গালের নীচের দিকে কিংবা গলায় কোনও ফোলা অংশ যা বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু কোনও ব্যথাবেদনা নেই বললেই চলে— এমন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হতে হবে।
২) মুখের ভেতরে কোনও ব্যথাহীন ফোলা অংশ রয়েছে, যা ক্রমশ বাড়ছে কিংবা মুখের ভিতরে মাংসপিণ্ড জমাট বেঁধে ধীরে ধীরে বড় আকার নিচ্ছে, এমনটাও ক্যানসারের লক্ষণ।
৩) মুখের মধ্যে কোনও সাদাটে বা লালচে ছোপ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বিশেষত তিনি যদি ধূমপায়ী হন কিংবা তামাকজাতীয় পদার্থের প্রতি আসক্ত হন, তা হলে চিন্তা আরও বেশি। লিউকোপ্লেকিয়া অর্থাৎ সাদাটে ছোপ হল ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ।
ক্যানসার ঠেকাতে দিনে দু’বার ব্রাশ করা, সঙ্গে ফ্লস ও মাউথওয়াশের ব্যবহার রপ্ত করতে হবে। ছবি: শাটারস্টক।