আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে হলুদকে 'কাঁচা সোনা' বলা হয়। ছবি- সংগৃহীত
প্রতিদিনের রান্না হোক বা রূপচর্চা, হলুদ একমেবঅদ্বিতীয়তম। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে হলুদকে কাঁচা সোনাও বলা হয়। হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকায় নানাবিধ রোগ-ব্যাধিকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তবে সব জিনিসেরই বিধিসম্মত সতর্কীকরণ থাকে। তাই হলুদের গুণে প্রলোভিত হয়ে প্রতিদিন কাঁচা হলুদ খাওয়া সকলের জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।
কারা, কতটা পরিমাণ হলুদ খেতে পারবেন? তা জেনে নেওয়া জরুরি।
কিডনির সমস্যা
দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা হলুদ খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। অনেক সময়েই ক্যালশিয়ামের বিপাকক্রিয়া বিঘ্নিত করে হলুদ। যার ফলে প্রয়োজনীয় উপাদান ছেঁকে, বর্জ্য শরীরের বাইরে বার করতে পারে না বৃক্ক। বহুদিন ধরে জমতে জমতে সেগুলিই ক্যালশিয়াম অক্সালেট জাতীয় পাথরে পরিণত হয়।
এ ছাড়াও, হলুদের অনিয়মিত ব্যবহারে পেটে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। বিশেষত যাঁদের যকৃত্, অগ্ন্যাশয়ে কোনও রকম ঘা আছে, তাঁরা সাবধান।
ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যা
রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না হলুদ। হার্টে ব্লক থাকলে হলুদ উপকারী। কিন্তু মেয়েদের ঋতুস্রাবের জন্য বিষয়টি একেবারেই উল্টো। বেশি হলুদ খেলে ঋতুস্রাবের সময়ে রক্তক্ষরণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
হার্টে ব্লক থাকলে হলুদ উপকারী। ছবি- সংগৃহীত
শর্করার মাত্রা কমতে পারে
রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে রোজ কাঁচা হলুদ খাচ্ছেন? নিজের অজান্তেই বাড়ছে বিপদ। প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে শর্করার মাত্রা মেপে হলুদের পরিমাণ নির্ধারণ করার সময় কারও নেই। হলুদের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার রক্তে শর্করার মাত্রা প্রয়োজনের চেয়ে কমিয়ে দিতে পারে। হঠাৎ ঘটতে পারে বিপদ।
ওষুধের গুণ নষ্ট
অতিরিক্ত হলুদের ব্যবহারে অ্যান্টি-বায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত হলুদ খেতে পারেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।