কাদের জন্য বেশি টম্যাটো খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়? ছবি: সংগৃহীত।
মাছের ঝোল হোক কিংবা মুরগির কষা, নিরামিষ তরকারি হোক বা চাটনি, টম্যাটো আছে সবেতেই। সাধারণত বহু রান্নাতেই স্বাদ বাড়ানো এবং লালচে রং আনতে ব্যবহার করা হয় টম্যাটো। অনেকেই কাঁচা এই আনাজটি খান স্যালাড হিসাবে। অর্থাৎ, যেমন সব্জির মতো রান্না করা হয়, তেমনই ফলের মতো কাঁচাও খাওয়া হয়ে থাকে টম্যাটো। পুষ্টির নানা উপাদানে পরিপূর্ণ টম্যাটো। বিভিন্ন ভিটামিন এবং নানা ধরনের খনিজ পদার্থে ভরপুর। ভিটামিন বি১, বি৩, বি৬, বি৭ এবং সি থাকে টম্যাটোয়। রান্নায় টম্যাটো দিলে স্বাদ যেমন বাড়ে, তেমনই বাড়ে শরীরের প্রতিরোধ শক্তিও। উপকারী হলেও খুব বেশি মাত্রায় টম্যাটো খাওয়াও উচিত নয়। কাদের জন্য এই আনাজটি ক্ষতিকর হতে পারে?
১) অ্যাসিডিটির সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁদের টম্যাটো খেতে হবে নিয়ম মেনে। টম্যাটোয় অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকে, তাই অম্বল, বদহজমের সমস্যা থাকলে রোজ টম্যাটো না খাওয়াই ভাল। কাঁচা টম্যাটো মোটেই খাওয়া উচিত নয়। আর যদি খেতেই হয়, তা হলে বীজ বাদ দিয়ে খেতে হবে।
২) অতিরিক্ত পরিমাণে টম্যাটো খেলে বেড়ে যেতে পারে অস্থিসন্ধির ব্যথা। কারণ, টম্যাটোয় রয়েছে সোলানাইন নামক যৌগ। যা শরীরে বিভিন্ন অস্থিসন্ধির ব্যথা বাড়িয়ে তোলে।
৩) টম্যাটোয় আছে হিস্টামিন নামক একটি যৌগ। যা ত্বকে র্যাশ বা অ্যালার্জির সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। মুখ, গলা, জিভে সংক্রমণ হতে পারে। তবে সকলের এই সমস্যা হয় না।
৪) কিডনির সমস্যা রয়েছে যাঁদের, তাঁদের রক্তে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রা একটু বেশিই থাকে। তার উপর রান্নায় অতিরিক্ত পরিমাণে টম্যাটো দিলে বা টম্যাটোজাত জিনিস খেলে পটাশিয়ামের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশে লেখা হয়েছে। কোনও ক্রনিক অসুখ থাকলে টম্যাটো খাওয়া যাবে কি না, সেই বিষয় অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।