সাধারণ আঁচিল না কি ক্যানসারের লক্ষণ, বুঝবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
আঁচিলের সমস্যা নিয়ে অনেককেই বিড়াম্বনায় পড়তে হয়। যদিও এই সমস্যায় ব্যথা বা বিশেষ কোনও অস্বস্তি থাকে না, তবে ভুক্তভোগীরাই জানেন, আপাত নিরীহ মনে হলেও এই সমস্যা কতটা চিন্তার বিষয় হতে পারে। আঁচিল হওয়ার প্রবণতা নারী-পুরুষ উভয়ের সমানে সমান। তবে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আঁচিলের সংখ্যাও মধ্যেই সমান। যেমন, মধ্যবয়সের পর আঁচিল হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এ ছাড়া, যাঁদের ওজন খুব বেশি ও গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে অনেক সময় দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে আঁচিলের প্রবণতা বেড়ে যায়।
ত্বকের বাইরের স্তরে কিছু কোষের অতিরিক্ত বৃদ্ধি হলে আঁচিল তৈরি হয়। ত্বকের দুটি স্তর পরস্পর ঘষা খেলেও অনেক সময় আঁচিল হতে পারে। সেই কারণে অনেক সময় বগল, চোখের পাতা, কুচকি, গলা কিংবা ঘাড়ে আঁচিলের আধিক্য হয়। ডায়াবিটিস কিংবা স্থূলতাও শরীরে অতিরিক্ত আঁচিলের কারণ হতে পারে। জিনগত কারণেও শরীরে আঁচিল দেখা দিতে পারে। শরীরে মেলানিনের ক্ষরণ বেড়ে গেলেও আঁচিল হয়। সূর্যের তাপে অনেক ক্ষণ থাকলে চামড়া পুড়ে যায়, সেই কারণেও আঁচিল হতে পারে।
শরীরে মেলানিনের ক্ষরণ বেড়ে গেলেও আঁচিল হয়। ছবি: সংগৃহীত।
চর্ম চিকিৎসকদের মতে, সাধারণত আঁচিল শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর নয়। কিন্তু দেহের বিভিন্ন স্থানে আঁচিল হলে তা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। সাধারণ আঁচিলে ব্যথা হওয়ার কথা নয়। যদি দেখেন, আঁচিলের চারপাশে ব্যথা হচ্ছে, সেই স্থানে রক্তপাত হচ্ছে কিংবা একই অংশে হঠাৎ করে অনেকগুলি আঁচিল দেখা দিচ্ছে তা হলে কিন্তু বিষয়টা স্বাভাবিক নয়। বিশেষত, যদি আঁচিল ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে তা ত্বকের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। সাধারণ মানুষের পক্ষে আঁচিল না ক্যানসার তা বোঝা সহজ নয়। তাই ঝুঁকি না নিয়ে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভাল।