বাজ পড়ার সময় রাস্তায় থাকলে কোন ভুলগুলি করবেন না? ছবি: সংগৃহীত।
বৈশাখের তীব্র গরমে স্বস্তি এনে দেয় এক পশলা বৃষ্টি। কিন্তু এই স্বস্তির বৃষ্টির সঙ্গে আসা বজ্রপাত বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাজ পড়ে অনেকের মৃত্যু হয়। অনেকে বেঁচে গেলেও তাঁদের পরবর্তী জীবন বিছানায় কাটে।
সোমবার থেকেই যে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টি নামতে চলেছে, সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। তবে সোমবার সকালের পূর্বাভাসে তারা জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, হুগলির কিছু কিছু অংশে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টি হতে পারে।
এর মধ্যেই কলকাতার কিছু কিছু এলাকায় আকাশ অন্ধকার করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে হাওয়া অফিস সতর্ক করে জানিয়েছে, বৃষ্টির সঙ্গে ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। তিন জেলায় বজ্রপাতের ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন আবহবিদেরা। এই সময় রাস্তায় থাকলে খুব সতর্ক থাকতে হবে। বজ্রপাতের সময় কী ভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন?
১. বাজ পড়ার সময় অনেকেই বাড়ির বাইরে বা মাঠে থাকেন। এ ক্ষেত্রে বাড়ি বা কাছাকাছি কোনও ঘরে আশ্রয় নেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ।
২. একান্তই খোলা জায়গায় থাকলে, বাজ পড়ার সময় যতটা সম্ভব নিজেকে সঙ্কুচিত করে বা কুঁজো হয়ে মাটিতে বসে পড়লে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। না শুয়ে যতটা সম্ভব নিচু হয়ে মাটির কাছাকাছি থাকলেও বাজের কবল থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
বজ্রপাতের সময় গাছের তলায় আশ্রয় নেবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
৩. বাজ পড়ার সময়ে কখনওই ফাঁকা মাঠে থাকবেন না।
৪. বজ্রপাতের সময় গাছের তলায় আশ্রয় নেবেন না।
৫. কোথাও বজ্রপাত হলে বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এ সব স্থানে আশ্রয় নেবেন না।
৬. বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভিতরে থাকলে সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোনও কংক্রিটের ছাউনির নীচে আশ্রয় নিন। গাড়ির ভিতরের ধাতব বস্তু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। ওই সময় গাড়ির কাচেও হাত দেবেন না।
৭. বজ্রপাতের সময় আপনি যদি ছোট কোনও পুকুরে সাঁতার কাটেন বা জলাবদ্ধ স্থানে থাকেন, তা হলে সেখান থেকে সরে পড়ুন। জল খুব ভাল বিদ্যুৎ পরিবাহী, তাই সাবধান।