মূত্র ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে কেন? ছবি- সংগৃহীত
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে মূত্রের রং স্বচ্ছই থাকার কথা। তবে অনেক সময় শরীরে জলের অভাব বা কোনও ওষুধের প্রভাবে প্রস্রাবের রং পাল্টে যেতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে তা হালকা হলুদ থেকে গাঢ় হলুদ বা লালচেও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু সাধারণ অবস্থায় মূত্রের রং ঘোলাটে হয়ে যাওয়ার পিছনে কি কারণ থাকতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনও ব্যক্তি কী ধরনের খাবার এবং পানীয় খাচ্ছেন, তার অনেকটা প্রভাব পড়ে মূত্রের উপর। এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি খেলে মূত্রের রং ঘোলাটে হয়ে যেতে পারে।
১) নোনতা খাবার
অতিরিক্ত ভাজাভুজি, চিপস্, প্রক্রিয়াজাত মাংসে নুনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে। অতিরিক্ত নুন খেলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। এই ধরনের খাবার খেয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে অনেক সময়ই মূত্রের রং ঘোলাটে হয়ে যেতে পারে।
২) ফ্রুক্টোজ় সিরাপ
কৃত্রিম সিরাপ দেওয়া যে কোনও পানীয় বা মিষ্টি খাবার খেলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে এই অ্যাসিডের পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলে মূত্র ঘোলাটে হয়ে যেতে পারে।
৩) দুগ্ধজাত খাবার
অনেক সময় সদ্যোজাত শিশুদের মূত্রের রং ঘোলাটে হয়ে যেতে পারে। কারণ, একটা বয়স পর্যন্ত শিশুদের মূলত দুধের উপরই ভরসা করতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার বেশি খেলে রক্তে ফসফরাসের মাত্রা বেড়ে যায়। এই কারণেও কিন্তু মূত্রের রং ঘোলাটে হয়ে যেতে পারে।
৪) মাংস
মাংসে প্রোটিনের মাত্রা অনেকটাই বেশি। প্রতিদিন যাঁদের মাংস ছাড়া খাওয়া সম্পূর্ণ হয় না, তাঁদের মূত্রেও কিন্তু এই ধরনের পরিবর্তন চোখে পড়ে।
৫) সামুদ্রিক খাবার
সার্ডিন মাছ, সামুদ্রিক চিংড়ি বা ঝিনুকের মতো খোলাযুক্ত সামুদ্রিক খাবারে ‘পিউরিন্স’ নামক যৌগের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। বিপাকের পর এই ‘পিউরিন্স’ পরিবর্তিত হয়ে ইউরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। যা প্রস্রাবকে প্রভাবিত করে।
৬) অ্যালকোহল
অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান করলে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ডিহাইড্রেশন থেকেও অনেক সময়ে ঘোলাটে প্রস্রাব হতে পারে।
৭) ক্যাফিনজাতীয় পানীয়
দিনে বহু বার ক্যাফিনজাতীয় পানীয়, গ্রিন টি খেলেও কিন্তু শরীর ডিহাইড্রেটে়ড হয়ে যেতে পারে। যার ফলে মূত্রের রং ঘোলাটে হয়ে যায়।