অল্পবয়সিরা কী ভাবে এড়াবেন ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি? ছবি: শাটারস্টক।
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। অনেক সময় অল্প বয়সেও কেউ কেউ ভুলে যাওয়া বা ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন। এই অসুখের চূড়ান্ত পর্যায় হল অ্যালজাইমার’স। যখন নিজের বাড়ির ঠিকানা, কাছের মানুষদের নাম, সব খুঁটিনাটি বিষয় ভুলে যেতে থাকেন তাঁরা। সাধারণত আমাদের রোজকার জীবনের কিছু অভ্যাস, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, শরীরচর্চায় অনীহা, মানসিক চাপের কারণে ডিমেনশিয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। অল্প বয়সে এই রোগের শিকার হতে না চাইলে রোজের জীবনে কিছু কিছু বদল আনা জরুরি। জেনে নিন, কোন কোন অভ্যাসে রাশ টানবেন?
১) মদ্যপানে লাগাম
২) ধূমপান বন্ধ
৩) দিনে ৭৫ মিনিট ভারী শরীরচর্চা
৪) আড়াই ঘণ্টার শারীরিক কসরত
৫) দিনে ৭-৯ ঘণ্টার ঘুম
৬) পুষ্টিকর খাদ্যাভাস
৭) সামাজিক অনুষ্ঠানগুলিতে যোগ দেওয়া। ভার্চুয়াল জগতে ডুবে থাকার অভ্যাস ত্যাগ করা
স্মৃতিশক্তির সমস্যা সাধারণত ডিমেনশিয়া ও অ্যালজাইমার্স রোগের প্রাথমিক উপসর্গ। শুরুর দিকে অ্যালজাইমার্স রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সদ্য ঘটা কথোপকথন কিংবা ঘটনাগুলি ভুলে যেতে পারেন। জিনিসপত্র ভুল জায়গায় রাখা, স্থান এবং বস্তুর নাম ভুলে যাওয়া, সঠিক শব্দটি ভাবতে সমস্যা হওয়া এবং বার বার একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে থাকা— কোনও ব্যক্তির এই উপসর্গগুলি দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে।
তা ছাড়া দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসা, কথার মধ্যে সাযুজ্য না থাকা এই রোগের প্রাথমিক পর্যায়ের সঙ্কেত হতে পারে। সময় ও তারিখ মনে রাখতে না পারাও এই রোগের লক্ষণ। রঙের পার্থক্য বুঝতে না পারা, দুরত্ব বুঝতে অসুবিধা, গাড়ি চালাতে সমস্যা এই সবই কিন্তু অ্যালজাইমার্স ও ডিমেনশিয়া রোগের লক্ষণ।