'ক্যানসার' শব্দটি শুনলেই আতঙ্ক গ্রাস করে মনে। ছবি: সংগৃহীত।
'ক্যানসার' শব্দটি শুনলেই আতঙ্ক গ্রাস করে মনে। নিকটজনের ক্যানসার হয়েছে শুনলেই তাঁকে হারানোর অজানা ভয় তাড়া করে বেড়ায় সারা ক্ষণ। ভারতে দিন দিন বেড়ে চলেছে রক্তের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শিশুদের মধ্যে এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এই রোগে আক্রান্ত হলে রক্তের মধ্যে থাকা লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং প্লেটলেটগুলির অনিয়ন্ত্রিত গঠন ও বিস্তার হতে থাকে। সাধারণত ব্লাড ক্যানসারকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। একটি হল, অ্যাকিউট বা তীব্র এবং অন্যটি হল, ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী। এই ক্যানসার প্রথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে রোগীর নিরাময়ের সম্ভাবনা বাড়ে। তাই লক্ষণগুলি সম্পর্কে আগাম সতর্ক থাকা ভীষণ জরুরি। জেনে নিন, কোন কোন উপসর্গ রক্তের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
জেনে নিন, কোন কোন উপসর্গ রক্তের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
১) রক্তের ক্যানসারে আক্রান্ত হলেই রক্তাল্পতা শুরু হয়। রক্তাল্পতার জন্য দুর্বলতা, খাবারে অরুচি, বুক ধড়ফড়, পায়ে জল জমে যাওয়া, ত্বক ফ্যাকাশে, জেল্লাহীন হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়।
২) ঘন ঘন কোনও কারণ ছাড়াই জ্বর হলে সতর্ক হোন। এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই যে কোনও রকম সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এক বার সংক্রমিত হলে সুস্থ হতে অনেকটা সময় লেগে যায়।
৩) এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে অস্বাভাবিক হারে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। মাড়ি থেকে রক্তপাত, কোথাও কেটে গেলে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হলে সতর্ক হতে হবে। এই ক্যানসারে আক্রান্ত হলে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াটি ব্যাহত হয়, তাই রক্তপাত এক বার শুরু হলে বন্ধ হতে চায় না।
৪) লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া। লিভার ও প্লীহার আকার বেড়ে যাওয়াও রক্তের ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ।
৫) কোনও ডায়েট কিংবা শরীরচর্চা ছাড়াই ওজন হঠাৎ অনেকটা কমে গেলেও সতর্ক হতে হবে।
৬) হাড়ে তীব্র যন্ত্রণা মানেই যে বাত হয়েছে, এমনটা ধরে নেবেন না। বিশেষ করে পাঁজরের হাড়ে যন্ত্রণা, পিঠের যন্ত্রণা কখনই উপেক্ষা করবেন না। দীর্ঘ দিন একই রকম যন্ত্রণা হতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
৭) ঘুমের মধ্যে ঘেমে যাওয়াও রক্তের ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে।