নুন-জল শরীরে রক্ত প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করবে। ছবি- সংগৃহীত
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চার বিকল্প নেই। জিমে হোক বা বাড়িতে— শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখা জরুরি। এই অভ্যাস দীর্ঘ দিন সুস্থ-সবল থাকতে সাহায্য করবে। মেদ ঝরিয়ে রোগা হতে বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হয়। শরীরচর্চা ছাড়াও খাওয়াদাওয়াতেও রাশ টানতে হয় কিছুটা। ইচ্ছা করলেই সব কিছু খেয়ে নেওয়া যায় না এই পর্বে। তবে ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরচর্চার আগে বা পরে যদি নুন-জল খাওয়া যায়, তা হলে সুফল পাওয়া যায় বেশি। অবাক হচ্ছেন তো? অনেকে হয়তো ভাবছেন, যে নুন খেতে বারণ করে থাকেন চিকিৎসকরা, ওজন কমাতে কী ভাবে তা সাহায্য করবে।
পুষ্টিবিদরা সাধারণত যে কোনও ধরনের শরীরচর্চার আগে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে বলেন। কলা, বাদাম এবং অনুরূপ অন্যান্য খাবারগুলি ভিতর থেকে বেশি শক্তি জোগায়। বেশি ক্ষণ ব্যায়াম করলেও সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে না শরীর। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ছাড়া এক চিমটে নুনও কিন্তু বাড়িয়ে দিতে পারে শরীরচর্চা করার ইচ্ছা। এতে দ্রুত রোগা হওয়ার লক্ষ্যে কিছুটা হলেও এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। বেশ অনেক ক্ষণ শারীরিক কসরতের পর স্বাভাবিক ভাবেই ঘাম ঝরে। সেই সময়ে শরীরে জলের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে নুন-জল খাওয়ার পরামর্শও তাঁরা দিয়ে থাকেন। নুন-জল শরীরে রক্তপ্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করবে।
অনেক ক্রীড়াবিদ শারীরিক শক্তি বাড়াতে খেলতে নামার আগে সোডিয়াম গ্রহণ করেন। এতে দ্রুত হয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে না শরীর। রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা অত্যধিক কম হলে ‘হাইপোনেট্রেমিয়া’ নামক একটি অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। শরীরচর্চার পর মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা হল এই সমস্যার উপসর্গ। ব্যায়াম করার সময়ে বেশ খানিকটা সোডিয়াম নষ্ট হয়। নুন ‘হাইপোনেট্রেমিয়া’র ঝুঁকি কমায়। নুন খাওয়ার ফলে শরীরে জলের ধারণক্ষমতা বেড়ে যায়, যা হারিয়ে যাওয়া ইলেক্ট্রোলাইটগুলি অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া নুন শরীরে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতেও সাহায্য করে।
শরীরচর্চার আগে নুন খাওয়ার রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা। ব্যয়ামের সময়ে পেশিতে টান বা রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মতো সমস্যা লেগেই থাকে। নুন সেই প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে।