খুব জোরে দৌড়ে হাঁপিয়ে পড়ার থেকে ভাল তুলনায় কম গতিতে কিন্তু বেশি সময় ধরে দৌড়নো। ছবি- সংগৃহীত
শরীরচর্চা করার বিভিন্ন মাধ্যমের মধ্যে অন্যতম একটি প্রাচীন এবং জনপ্রিয় পন্থা হল দৌড়। কিন্তু কে কতটা দৌড়বেন বা কত ক্ষণ সময় ধরে দৌড়বেন, তার উপর নির্ভর করে তার ফলাফল। দৌড়ের মাধ্যমে সবচেয়ে ভাল ফল পেতে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। যেমন গতি, সময় এবং সচেতনতা। চিকিৎসকদের মতে, খুব জোরে দৌড়নোর পর হাঁপিয়ে পড়ার থেকে ভাল তুলনায় কম গতিতে কিন্তু বেশি সময় ধরে দৌড়নো।
কিন্তু দৌড়নোর গতি বা সময়, কার ক্ষেত্রে কেমন হওয়া উচিত, তা বুঝবেন কী করে?
সম্প্রতি জিমে শরীরচর্চা করতে করতে মৃত্যুর ঘটনাগুলি বিচার করে, চিকিৎসকদের একাংশ মনে করেন যে, কোনও রকম ঝাঁকুনিই শরীরের জন্য ভাল নয়। এমনকি, খুব জোরে দৌড়নোর ফলেও শরীরে ঝাঁকুনি হতে পারে। যার প্রভাব সরাসরি পড়ে হার্ট রেটের উপর। আবার যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্যও এই অভ্যাস কিন্তু মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াও প্রত্যেককেই নিজের শরীর সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। কার শরীরে কী সমস্যা হচ্ছে, তা একমাত্র সেই ব্যক্তিই সব চেয়ে ভাল বুঝতে পারেন। তাই রক্তচাপ হঠাৎ বে়ড়ে গেলে বা রক্তের চাপ হঠাৎ কমে গেলে সেই সময়ে খুব জোরে দৌড়নো একেবারেই উচিত নয়।
কিন্তু যারা দীর্ঘ দিন দৌড়নোর অভ্যাসের মধ্যে আছেন, তাঁদের হয়তো সেই ভাবে সমস্যায় পড়তে হবে না। কারণ, তাঁরা জানেন কখন দৌড়ের গতি বাড়াতে হয়, আবার কখন ধীরে ধীরে দৌড়ের গতি কমিয়ে আনতে হয়। প্রশিক্ষকদের মতে, শরীরের ক্ষমতা অনুযায়ী ৭ থেকে ৮ মিনিটে এক কিলোমিটার অতিক্রম করতে যতটুকু গতিবেগ প্রয়োজন, সেটুকু করা যেতেই পারে। তবে দৌড়নোর পাশাপাশি খাদ্যাভাস, পরিমাণ মতো জল খাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুমোনোও জরুরি।