RSV Virus

জ্বর, শ্বাসকষ্টে ভুগছে শিশুরা, কারণটা কি আরএসভি ভাইরাস? কী কী লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন

মরসুম বদলের সময় শিশুদের জ্বর, সর্দিকাশির সমস্যা খুব ভোগায়। ঠান্ডা-গরমের জ্বর ভেবে অনেক সময়েই এড়িয়ে যান বড়রা। এই জ্বর ভাইরাস ঘটিত কি না, তা বুঝে নিতে হবে কিছু লক্ষণ দেখে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪ ১২:২৮
Share:

শিশু আরএসভি আক্রান্ত কি না, কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন? ছবি: সংগৃহীত।

আবহাওয়ার বদলের সময় ভাইরাল জ্বরে বেশি ভোগে শিশুরা। গত কয়েক বছর ধরে অজানা জ্বরে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে, বিভিন্ন জেলা থেকে।

Advertisement

পরীক্ষা করিয়ে ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়া ধরা পড়ছে না। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, উপসর্গ দেখে বোঝা যাচ্ছে, ছোঁয়াচে রেসপিরেটরি ভাইরাসের সংক্রমণেই ঘন ঘন জ্বর, সর্দিকাশি, এমনকি শ্বাসের সমস্যাও হচ্ছে অনেক শিশুর।

প্রতি বছরই ঋতুবদলের সময়টাতে এই ধরনের ভাইরাসের দাপট বাড়ে। শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়। বর্ষায় ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া নিয়ে যত না চিন্তা বাড়ে, ততটাই এই ছোঁয়াচে ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।

Advertisement

শিশুদের জ্বর, সর্দিকাশি, শ্বাসের সমস্যার মূল কারণ ‘হিউম্যান রেসপিরেটরি সিন্সিটিয়াল ভাইরাস’ বা আরএসভি ভাইরাস। সদ্যোজাত থেকে পাঁচ বছর বয়স অবধি শিশুরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জন্মের এক মাস পর থেকেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হতে দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি ভোগে ৩ থেকে ৬ মাসের শিশুরা। যে সব শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি খুব দুর্বল অথবা জন্মের পরে হার্ট বা ফুসফুসের কোনও ত্রুটি থাকে, তাদের ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে।

কী কী লক্ষণ দেখে সতর্ক হবেন বাবা-মায়েরা?

১. তিন দিনের বেশি জ্বর থাকলেই সাবধান হতে হবে। দেখবেন, সর্দিকাশি কমছেই না। শিশুর শ্বাস নিয়ে কষ্ট হচ্ছে। শ্বাস নেওয়ার সময়ে বুকে শোঁ শোঁ শব্দ হচ্ছে। সেই সঙ্গেই ঘন ঘন পেটখারাপ, বমি, গায়ে, হাত, পায়ে ব্যথা হচ্ছে।

২. বাবা-মায়েদের খেয়াল রাখতে হবে, শিশুর শ্বাসকষ্ট বাড়ছে কি না। যদি দেখেন, শিশু মুখ দিয়ে শ্বাস নিচ্ছে, তা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

৩. শিশুর প্রস্রাব ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা-ও নজরে রাখতে হবে। প্রস্রাব যদি দিনে পাঁচ বারের কম হয়, তা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ভাইরাস থেকে বাঁচতে বাবা-মাকেও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, শিশুদের সব সময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। বাইরে থেকে এলে হাত ধুয়ে তবেই শিশুর কাছে যান বা শিশুর জিনিসপত্র ধরুন। বাড়িতে কারও শ্বাসজনিত সমস্যা হলে কিংবা ঠান্ডা লাগলে তার থেকে শিশুকে দূরে রাখতেই হবে। খুদের ব্যবহারের জিনিসগুলি ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে। জামাকাপড় রোদে শুকোনোই ভাল। জ্বর, সর্দিকাশি না কমলে নিজে থেকে ওষুধ খাওয়াতে যাবেন না। কোনও রকম অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো যাবে না শিশুদের। শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই ওষুধ খাওয়াতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement