খাওয়ার ইচ্ছা বশে থাক। ছবি: সংগৃহীত।
বেশি ক্ষণ পেট খালি রাখতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। দীর্ঘ সময় উপোস করে থাকলে গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি থাকে। সেই সঙ্গে আলসারের আশঙ্কাও থাকে। এক বারে বেশি পরিমাণে না খেয়ে, ধাপে ধাপে খাবার খাওয়ার অভ্যাসই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন পুষ্টিবিদেরাও। পরিমাণে কম করে খেলে খিদেও তৈরি হয়। ফলে হজমের গোলমালও সহ্য করতে হয় না। খিদে না পেলে ভারী খাবার খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়, মত চিকিৎসকেদের। আবার অনেকেরই পেটের মধ্যে ছুঁচোয় ডন না মারলেও, খাবার খাওয়ার জন্য আকুল হয় মন। হয়তো কিছু ক্ষণ আগেই খাবার খেয়েছেন। কয়েক মুহূর্ত কাটতে না কাটতেই খাওয়ার ইচ্ছা জেগে ওঠে। সেই আকুলতা বেশির ভাগ সময়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। ভরা পেটে আবার অন্য খাবার ঢোকে। এতে সাময়িক ভাবে পেট এবং মন শান্ত হলেও শরীর ক্রমশ বিপদের দিকে এগিয়ে যায়।
কেন হয় এমন?
খিদে না পেলেও খাবার খাওয়ার অভ্যাসের নেপথ্যে রয়েছে বিভিন্ন কারণ। তার মধ্যে অন্যতম দৈনন্দিন জীবনের খাদ্যাভ্যাস। সকলেরই ক্ষেত্রে এই অভ্যাস একই রকম নয়। অনেকেই খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত কড়া নিয়ম মেনে চলেন। কেউ আবার খাবার দেখলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এই খাবার খাওয়ার ঝোঁক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেই এমন অভ্যাস তৈরি হয়। এমনিতে সত্যিই খিদে পেলে শরীর মস্তিষ্কে সেই সঙ্কেত পাঠায়। খাবার খাওয়ার তাগিদটা তখন আরও তীব্র হয়। কিন্তু যখন-তখন খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনও সঙ্কেতের প্রয়োজন হয় না। চোখের সামনে খাবার দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়তে ইচ্ছা করে। এর ফলে ওজনও বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, ইউরিক অ্যাসিডের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।
কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন এই সমস্যা?
১) নিজের শরীরের ভালমন্দ তো নিজেকেই বুঝতে হবে। ইচ্ছে হলেই খাবার খাওয়ার প্রবণতা দমন করতে হবে। না হলে পরে ফল ভুগতে হতে পারে।
২) সঠিক সময়ে পরিমাণ মতো খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। সময়ে তৃপ্তি করে খেয়ে নিলে এই প্রবণতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। সেই সঙ্গে সারা ক্ষণ টুকটাক খাবার খাওয়া বন্ধ করুন।
৩) প্রোটিন, ফাইবার পরিমাণ মতো শরীরে গেলে খিদে পাওয়ার কথা নয়। তাই প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট আছে এমন খাবার খান। তাতে পেট দীর্ঘ ক্ষণ ভর্তি থাকবে। খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও মাথাতুলে দাঁড়াবে না।