‘বডি ক্লক’ পরিবর্তন হলে নকচুরিয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। ছবি: শাটারস্টক।
রাতে একাধিক বার প্রস্রাব করতে ওঠার ঠেলায় ঘুমের বারোটা বাজে? পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে সারাদিন থাকছে ক্লান্তিভাব। মেজাজও থাকছে বিগড়ে। চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলে ‘নকচুরিয়া’। অর্থাৎ একাধিক বার প্রস্রাবে যাওয়ার জন্য রাতে ঘুম নষ্ট। চল্লিশের কোঠায় অনেক পুরুষই এই সমস্যার সম্মুখীন হন। বয়স পঞ্চাশ পেরনোর পর থেকে সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। নানা কারণে হতে পারে এই সমস্যা।
কী কারণে হয় এই রোগ?
কর্মসূত্রে হোক বা রাতের পর রাত জেগে ওয়েব সিরিজ দেখার জন্য অনেককেই রাত জাগেন। ‘বডি ক্লক’ পরিবর্তন হলে নকচুরিয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। ‘অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া’ থাকলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবিটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ে। অ্যান্টি সাইকিয়াট্রিক ড্রাগ বা কিডনির ওষুধ খেলেও প্রস্রাব বেশি পায়। রাতে ঘুম থেকে উঠতে হয়। হার্টের অসুখ, কিডনিতে স্টোন এবং প্রস্টেটের সমস্যা থেকেও এমনটা হতে পারে। শুধু পুরুষদেরই নয়, মেয়েরাও অনেকে গর্ভাবস্থায় এবং মেনোপজের পর নকচুরিয়া-য় ভোগেন । কিনডিতে সংক্রমণ, মূত্রাশয় সংক্রমণের কারণেও কিন্তু এই রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।
অ্যান্টি সাইকিয়াট্রিক ড্রাগ বা কিডনির ওষুধ খেলেও প্রস্রাব বেশি পায়। ছবি: শাটারস্টক।
রেহাই মিলবে কোন উপায়?এই রোগের হাত থেকে রেহাই পেতে জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার দু’ঘণ্টা আগে আর জল খাবেন না। মদ্যপান যথাসম্ভব এড়িয়ে যান। কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার ওষুধ খেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তা দিনের বেলা খাওয়ার চেষ্টা করুন।