সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করতে অনেকেরই আবার আলস্য লাগে। ছবি: সংগৃহীত।
রাজর্ষি স্কুলের শিক্ষক। সকালে সাড়ে ৬টার মধ্যে স্কুলে ঢুকতেই হয়। তাই সকালে শরীরচর্চা করার সময় বার করতে পারেন না। বিকেলে জিমে গিয়ে ভারী শরীরচর্চা করেন রাজর্ষি। বিজ্ঞাপন সংস্থায় কর্মরত রাইমা আবার ভোরবেলা শরীরচর্চা করতেই বেশি ভালবাসেন। জিম নয়, জগিং, রানিং, স্ট্রেচিং করেই শরীরচর্চা করেন তিনি। সুস্থ ভাবে বাঁচার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। কেউ বাড়িতে, কেউ বা আবার জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে বেশি আগ্রহী। তবে অনেকেই এটা জেনে অবাক হবেন যে, আমরা দিনের কোন সময়ে শরীরচর্চা করছি, তার উপরেও কিন্তু ওজন কমার ব্যাপারটি অনেকটা নির্ভর করে।
ব্যায়াম করলে অনেকেরই ঘুমের সমস্যা হয়। ছবি: সংগৃহীত।
সন্ধ্যার পরও শরীরচর্চা করতে পারেন। কিন্তু এই সময়ে ব্যায়াম করলে অনেকেরই ঘুমের সমস্যা হয়। বিশেষ করে ভারী ব্যায়ামের ক্ষেত্রে। আবার অনেকেই ভাবেন সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়ামটা সেরে ফেলতে পারলে সারা দিন আর ভাবনা থাকে না৷।সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করতে অনেকেরই আবার আলস্য লাগে। সে ক্ষেত্রে দুপুর-বিকেল-রাতে ব্যায়াম করলে, মাঝেমধ্যেই ছেদ পড়ে যেতে পারে যদিও।
ওজন কমাতে হলে কখন শরীরচর্চা করবেন?
সকালটা শরীরর্চার জন্য আদর্শ সময়। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে যদি ব্যায়াম করা যায়। দীর্ঘ সময় ঘুমের পর সকালটা সকলেই তরতাজা থাকেন, তাই অনেক ক্ষণ শরীরচর্চা করলেও ক্লান্তি আসে না। কাজ করার ইচ্ছা বাড়ে। সে বাড়ির কাজ হোক বা রোজের অফিসের দায়িত্ব, সবটাই অনেক ভাল ভাবে করা যায়। সকালের দিকে ব্যায়াম করার আরও একটি সুফল হল, এতে খিদে বাড়ে। হজমও ভাল হয়।
সকালে ব্যায়াম করলে আর কী কী সুফল পাবেন?
১) সকালে ব্যায়াম করলে শরীরে গ্লুকোজ়ের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমে।
২) স্মৃতিশক্তি ভাল হয়।
৩) মনমেজাজ ভাল হয়।
৪) অনিদ্রার সমস্যা কমে।
কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই সন্ধ্যার পর ব্যায়াম করেন। তবে গবেষকেরা বলেছেন, রাতে ভারী ব্যায়াম এড়ানো উচিত। কারণ এটি এক জন ব্যক্তির ঘুমের ধরনকে প্রভাবিত করবে। ‘জার্নাল অফ ফিজিয়োলজি’-তে প্রকাশিত একটি ২০১৯ আর একটি সমীক্ষা বলছে যে সন্ধ্যা ৭টার পরে ব্যায়াম করলে ঘুমাতে দেরি হয়।
তাই সময় বার করতে পারলে সকালেই ব্যায়াম করুন। একান্তই সময় বার করতে না পারলে বিকেলে করতে পারেন। তবে খুব বেশি রাত না হয়, সে দিকে খেয়াল করুন।