ফুচকা খেয়েও কী ভাবে ওজনন বশে রাখবেন? ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমানোর ডায়েট মানেই মুখরোচক সব খাবারে নিষেধাজ্ঞা। এমনই তো দস্তুর। মোমো, চিকেন রোল, বিরিয়ানি, পেস্ট্রি, আইসক্রিম— সুস্বাদু সব খাবারের সঙ্গেই তখন আড়ি করতে হয়। আচ্ছা, তবে ওজন কমানোর ডায়েটে যদি ফুচকা রাখা যায় তা হলে কেমন হয়? ভাবছেন তো, এটা কী করে সম্ভব?
ফুচকার স্বাস্থ্যগুণ কিন্তু অনেক। তবে বানানোর পদ্ধতিও হতে হবে স্বাস্থ্যকর। আলু নয়, ফুচকার ভিতরের দিতে পারেন ঘুগনি, কিংবা অঙ্কুরিত ছোলা। মিষ্টি চাটনির বদলে টক জল কিংবা পুদিনা পাতার জল দিয়ে ফুচকা খান। ফুচকার বাকি উপকরণগুলি কিন্তু বেশ স্বাস্থ্যকর। জেনে নিন ফুচকা খেলে স্বাস্থ্যের কী কী উপকার হয়।
তেঁতুল জল
টক জল ছাড়া ফুচকা মোটেই ভাল লাগে না। তেঁতুলের জল কিন্তু হজমে ভীষণ সাহায্য করে। তেঁতুল অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর, তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। তেঁতুলে হাইড্রক্সিসাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে, যা শরীরে চর্বি জমতে দেয় না। এই অ্যাসিড সেরোটোনিন নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা বাড়িয়ে খিদে কমায়। ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।
পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতা হজমে সহায়ক উৎসচেকগুলির ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে। গলা, বুকজ্বালা ভাব কমায়। তাই বদহজমের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পুদিনা উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও পুদিনার জুড়ি মেলা ভার।
কাঁচালঙ্কা
শুকনো লঙ্কা বেশি খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে, তবে কাঁচালঙ্কা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ঝাল ছাড়া ফুচকার স্বাদ আসে না। কাঁচালঙ্কা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। লঙ্কায় ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ত্বক আর চোখের জন্যেও ভাল ভিটামিন সি।
বিট নুন
ফুচকা খেয়েই কমবে ওজন। ছবি: শাটারস্টক।
ফুচকায় ব্যবহৃত বিট নুনও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভাল। গ্যাসের সমস্যা কমাতে, বদহজম দূর করতে, ওজন নিয়ন্ত্রমণে রাখতে বিট নুন বেশ কার্যকর।
জিরে গুঁড়ো
ফুচকার মশলায় ভাজা জিরের গুঁড়ো না পড়লে স্বাদ আসে না। এই জিরে গুঁড়োও কিন্তু হজমে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে জিরা।
ফুচকার বাকি উপকরণগুলি স্বাস্থ্যকর হলেও ফুচকা কিন্তু আদতে তেলেভাজা। তাই মাঝে মধ্যে ‘চিট মিল’ হিসাবে খেতে পারেন। রোজ রোজ নয়।