—প্রতীকী ছবি।
থাইরয়েডের সমস্যা নতুন নয়। আত্মীয়স্বজন, পা়ড়া-প্রতিবেশী, চেনা-পরিচিতদের অনেকেই থাইরয়েডে ভুগছেন। বয়স বাড়লে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলের মতো নানা ক্রনিক অসুখ বাসা বাঁধতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হানা দেয় থাইরয়েডও। শুধু বয়স বা়ড়লে নয়, কম বয়সেও থাবা বসাতে পারে এই রোগ। মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েডের সমস্যা বেশি দেখা গেলেও পুরুষেরা ঝুঁকির বাইরে নয়। থাইরয়েড আক্রান্ত হলে দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। তবে অনেক সময়ে থাইরয়েড হলেও তা বোঝা যায় না। তবে থাইরয়েডের কিছু উপসর্গ ফুটে ওঠে শরীরে। সেগুলি জেনে রাখলে চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হবে।
মানসিক উদ্বেগ
কাজের চাপ, ব্যস্ততা, ব্যক্তিগত জীবনের জটিলতা আগেও ছিল। কিন্তু হঠাৎ এই বিষয়গুলি কি বেশি ভাবাচ্ছে? উদ্বেগ এবং অবসাদ হঠাৎ বাড়তে শুরু করলেও সাবধান হওয়া দরকার। থাইরয়েড হরমোনের মাত্রার ওঠানামার সঙ্গেও সরাসরি যোগ রয়েছে এ সবের। তাই কোনও কারণে হঠাৎই বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়লে কিংবা উদ্বেগ বেশি হলে, বিষয়টি ভেবে দেখা জরুরি।
ওজন বেড়ে যাওয়া
বাইরের খাবার খান না। নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। তা সত্ত্বেও ওজন বাড়ছে? থাইরয়েড হল কি না, তা এক বার যাচাই করা জরুরি। তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শুধু ওজন বেড়ে যাওয়া নয়, ওজন যদি কমতে থাকে, তা হলেও কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে। থাইরয়েডের কারণে অনেক সময়ে ওজন বাড়ে-কমে। ওজনের বিষয়টি নিয়ে একটু খেয়াল রাখা জরুরি।
অত্যধিক ক্লান্তি
সারা ক্ষণ ক্লান্ত লাগছে মানেই যে ঠিক করে ঘুম হচ্ছে না, তা কিন্তু নয়। অনেক সময়ে থাইরয়েডের কারণেও এমন হয়। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার পরেও যদি ঘুম না কাটে, তা হলে এক বার চিকিৎসককে দেখিয়ে থাইরয়েড পরীক্ষা করানো জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে শারীরিক দুর্বলতা কাটতে না চাইলে, বিষয়টি এক বার মনোযোগ দিয়ে দেখুন।