মুখরোচক এবং একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর হোক টিফিন। ছবি: সংগৃহীত।
ঘরে ঘরে এখন কোলেস্টেরলের রোগী। এক বার এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলেই খাওয়াদাওয়ায় এসে যায় হাজার রকমের বিধিনিষেধ। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুয়ায়ী, কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়লে স্নেহপদার্থযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল, নইলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই একটা রোগের হাত ধরে স্থূলতা, ডায়াবিটিস, হার্টের অসুখের মতো একাধিক রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়ম করে শরীরচর্চার পাশাপাশি ডায়েটের দিকেও নজর রাখতে হবে বইকি। তবে তার মানে এই নয় যে, সুস্বাদু খাবার খাওয়া বন্ধ। বাইরের তেলমশলা, ভাজাভুজি জাতীয় খাবার না হয় খেলেন না, কিন্তু কোন খাবারগুলি খেলে মন ভাল হবে?
কলা
কলা এমন একটি ফল, যা শরীর ভিতর থেকে চাঙ্গা রাখে। সেই কারণে দিনের শুরুর খাবারে একটি করে কলা রাখার কথা বলে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। কলায় আছে কার্বোহাইড্রেট। সেই জন্য একটা কলা খেলে বহু ক্ষণ আর খিদে পায় না। ফলে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে।
মাখানা
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে মাখানা হতে পারে স্বাস্থ্যকর বিকল্প। মাখানায় পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি। এই দু’টি উপাদান কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। তাই চিপ্স, কুকিজ়ের বদলে খান মাখানা।
আপেল
শরীরের চাঙ্গা রাখতে কফির চেয়ে আপেল বেশি কার্যকরী। পুষ্টিবিদেরাও তেমনটা বলে থাকেন। আপেলে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা শরীরে শক্তি জোগায়। ক্লান্তি দূর করে। কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কিশমিশ
ফাইবার-সমৃদ্ধ কিশমিশ শরীর ভিতর থেকে চাঙ্গা রাখে। কাজের গতি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে কিশমিশ। কাজের ফাঁকে মুখ চালাতে ইচ্ছা করলেই কিশমিশ খেতে পারেন।