কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
বয়স ৩০-এর কাছাকাছি। হার্টের যে সমস্যা হতে পারে, তেমন কোনও উপসর্গ দেখেননি। তবে মাঝে মধ্যে খাওয়াদাওয়া করার পর বুকে কেমন চাপ ধরে। পরিমাণে একটু বেশি খেয়ে ফেললে বা অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া খাবার খেলে এমনটা তো আকছার হয়। তার জন্য হঠাৎ হার্টের পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন পড়বে কেন? বুক চিনচিন করা, খাওয়াদাওয়ার পর বুকে চাপ ধরার মতো উপসর্গগুলো এড়িয়ে যান অনেকেই। কম বয়সে এই ধরনের উপসর্গগুলি হার্টের থেকে হতে পারে না, এমন ধারণাও থাকে অনেকের। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, হার্টের রোগ যে কোনও বয়সেই হতে পারে। তার উপর যদি বাবা-মায়ের পরিবারে কারও হার্টের রোগ সংক্রান্ত ইতিহাস থাকে, তা হলে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে থাকা প্রয়োজন। কিন্তু ঠিক কোন বয়স থেকে হার্টের পরীক্ষা করাবেন?
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, হার্ট ভাল আছে কি না তার জন্য বছরে এক বার হলেও বেশ কিছু পরীক্ষা করিয়ে রাখা দরকার। তবে কোন ব্যক্তি ঠিক কোন বয়স থেকে হার্টের পরীক্ষা করানো শুরু করবেন এ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। ব্যক্তির শারীরিক সমস্যা বা পরিস্থিতি বুঝে চিকিৎসকেরাই এ সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে কারও যদি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস বা পরিবারে কারও হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকে, সে ক্ষেত্রে ৩০ বা ৩৫ বছরের পর থেকেই বছরে এক বার করে হার্টের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভাল।
কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হতে হবে?
১) বয়স অনুযায়ী দেহের ওজন, বডিমাস ইনডেক্স বা ‘বিএমআই’ নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে গেলে অবশ্যই চিকিৎসেকর শরণাপন্ন হতে হবে।
২) বয়স ৩০ পেরোতে না পেরোতোই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে? তা হলে অবশ্যই প্রতি বছর হার্টের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন রয়েছে।
৩) দীর্ঘ দিন ধরে যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি, তাঁদেরও নিয়মিত চেকআপে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।